চট্টগ্রাম

মুহিবুল্লাহ হত্যা : আটক দুই রোহিঙ্গা ৩ দিনের রিমান্ডে

  প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২১ , ৩:০৩:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আটক দুজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্নাহ ফারাহ আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আটক দুই রোহিঙ্গা আদালতে উপস্থিত ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, শনিবার সন্ধ্যায় আটক রোহিঙ্গা মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম ও শওকত উল্লাহকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে এবং সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এরপর রাতেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্নাহ ফারাহ দুজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ সময় আটক দুই রোহিঙ্গা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে তাদের কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়।

 

এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকের নুর বশরের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ লম্বা সেলিমকে এপিবিএন ও শনিবার বিকেলে কুতুপালং ৩ নম্বর ক্যাম্পের রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। চারজনের মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ লম্বা সেলিম ও ওইদিন দিবাগত মধ্যরাতে রোহিঙ্গা জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক করে। অপরদিকে শনিবার বিকেলে রোহিঙ্গা শওকত উল্লাহকে আটক করে উখিয়া থানার পুলিশ।

উল্লেখ্য, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে ৫ রাউন্ড গুলি করে। এ সময় ৩ রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে পড়ে যান। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে মৃতদেহটি হস্তান্তর করা হয়।

Powered by