প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৫:০৪:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জঃ ইয়াবা দিয়ে সুমন গাজী নামের এক যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনেরা। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী সুমন গাজীর ছোট বোন খাদিজা আক্তার। এসময় তার বোন লুবা বেগম, ভাই মো. বটু গাজী, উরফি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন গাজী উপস্থিত ছিলেন।
খাদিজা আক্তার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ভাই ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে সচিবালয়ে গণপূর্ত বিভাগে ইলেকট্রিক হেলপার পদে যোগদান করেন। ওই দপ্তরে বৈদ্যুতিক ক্যাবল ও ফ্যান চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়ে আইয়ূব আলী ও তার ভাই বকুল মিয়ার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া নিয়ে বিরোধ শুরু হয় তার সাথে। পরে ওই তথ্য সরবরাহের অভিযোগ এনে চলতি মাসের ১ তারিখে সুমন গাজীকে মারপিট করে আইয়ূব আলী ও তার ভাই বকুল মিয়া। এ বিষয়ে ওই দিন সুমন গাজী রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে (যার নং-২৭ তারিখ-১ সেপ্টেম্বর ২০২২)।
সাধারন ডায়েরি করায় তারা সুমনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং প্রতিশোধ নিতে বিভিন্ন ষড়ষন্ত্রে লিপ্ত হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টায় অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে র্যাব-১ এর সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যায় উত্তরায় র্যাব-১ কার্যালয়ে। ওই দিন সুমনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে পরিবারের লোক বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে ২০ সেপ্টেম্বর পল্টন মডেল থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করে (যাহার নং-১৪২৫) ।
পরে জানতে পারে তার ভাই শাহবাগ থানায় আছে। তার নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে দুই হাজার পিছ ইয়াবা দিয়ে শাহাবাগ থানায় একটি মামলা দিয়েছে র্যাব-১। পরে শাহাবাগ থানায় গিয়ে ভাইয়ের সাথে কথা বলে জানতে পারি আগের দিন বিকাল ৪ টায় কয়েকজন লোক সাদা পোশাকে তাকে তুলে নিয়ে যায় তারা আইনশৃংখরা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। উল্লেখ্য, আমার ভাই জীবনে কোনদিন ধূমপান বা কোন প্রকার নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করে না।
খাদিজা আক্তার আরো বলেন, আমার ভাই দোষী হলে শাস্তি পাক। যদি সে নির্দোষ হয় তাহলে তাকে এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হোক। সেই সাথে সত্য উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গোপালগঞ্জ-২ আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম সহ সমস্ত গোপালগঞ্জ বাসীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।