চট্টগ্রাম

ঈদ যাত্রা নিরাপদ করার দাবি লক্ষীপুর-ভোলা নৌ-রুটে দুর্ঘটনার শঙ্কা

  প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২৩ , ৪:২২:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

লক্ষীপুর প্রতিনিধি:

ঈদকে সামনে রেখে লক্ষীপুর-ভোলা নৌ রুটে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করলেও এখনো এই রুটে বাড়ানো হয়নি কোনো লঞ্চ। পর্যাপ্ত লঞ্চ ও সি-ট্রাকের অভাবে বাধ্য হয়েই যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার ও ছোট লঞ্চে যাতায়াত করছেন।
বিপজ্জনক এই রুটে উত্তাল মেঘনায় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। এতে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে থাকা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ-লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যেতে এই নৌ-পথ দিয়ে যাতায়াত করেন।
জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হচ্ছে নৌ-পথ। তাই ওই সব অঞ্চলের যাত্রীদের লক্ষীপুর-ভোলা রুট ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এ রুটটি ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঞ্জার জোনের আওতায় থাকায় শুধুমাত্র সি ট্রাক ও সি সার্ভে সনদধারী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিপজ্জনক মৌসুমে অনুমোদিত দুটি সি-ট্রাক ও একটি লঞ্চ চলাচল করায় বিকল্প ব্যবস্থায় যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ট্রলার ও স্পিটবোটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অবৈধ এসব নৌ যানে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা।
স্থানীয়রা জানায়, প্রমত্তা মেঘনা পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। মেঘনার এ এলাকাটি সমুদ্র এলাকাভুক্ত হওয়ায় সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের অনুমতি সম্পন্ন লঞ্চ এবং সি-ট্রাক ছাড়া অন্য নৌযান এরুটে চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু লঞ্চ-সিট্রাকের অভাবে বাধ্য হয়েই যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ট্রলারে যাতায়াত করছেন। এতে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিয়ে দেখা দিয়েছে শংঙ্কা। কয়েক বছর আগে মেঘনার এ চ্যানেলে একাধীকবার লঞ্চ ডুবির ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণহানিও হয়েছিল।
যাত্রীদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে ছোট ট্রলারগুলো চলছে। কিন্তু প্রশাসনের অভিযান নেই। ঈদের আগে এ সমস্যার সমাধান না হলে যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
যাত্রী জহিরুল ইসলাম বলেন, জরুরি প্রয়োজনে সময় মতো লঞ্চ পাচ্ছিনা, তাই বাধ্য হয়ে ট্রলারে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, ঈদকে সামনে রেখে এ রুটে আরো লঞ্চ বাড়ানোর দাবী জানানো হলেও তা বাস্তবায়ন হয়না। তাই এক শ্রেণির প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করে। অভিযান না থাকায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
লক্ষীপুর মজু চৌধুরীর হাট ঘাটের নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. আবু তাহের মিয়া জানান, ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অবৈধ নৌ চলাচল বন্ধে কাজ করছে নৌ পুলিশ।
এ ব্যাপারে বিআইডবিøউটিএ ভোলা নৌ বন্দর কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম রাইজিং বিডিকে জানান, খুব শিগগির এ রুটে আরো ১০টি লঞ্চ দেওয়া হবে। আর যাতে অবৈধভাবে নৌ যান চলাচল করতে না পারে সেজন্য বিআইডবিøউটিএ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের অভিযান অব্যহত থাকবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by