প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২৪ , ৭:৪৫:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জামায়াত নেতাদের নিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতার সাথে জামায়াত নেতাদের খাদ্য বিতরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে।
এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, রামাদান ফুড প্রোগ্রামের আওতায় ইসলামিক এইড বাংলাদেশ (সাওয়াব) এর সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে রোজাদারদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের কিশোরপুর এন.ইউ.এ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৩শ ৫০ জনের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, থেতরাই ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ও থেতরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা মহিউদ্দীন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা নিমাই কুমার সিংহ, সাওয়াব এর পরিচালক অপারেশন আফতাবুজ্জামান, সমাজ সেবক মিজানুর রহমান সামু প্রমুখ। এদিকে জামায়াত নেতাদের সাথে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে ক্ষমতাসীনদলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
থেতরাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খাদ্য সামগ্রী বিতরণের অনুষ্ঠানে আমারও উপস্থিত থাকার কথা ছিল কিন্তু সেখানে ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি-সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন আহম্মেদ, মোশারফ হোসেন ও সাবেক সম্পাদক মোহাইমেন সরকারসহ জামায়াত নেতারা উপস্থিত থাকায় ওই অনুষ্ঠানে যাইনি। পরে শুনেছি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জামায়াত নেতাদের সাথে নিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আমি এবং ইউএনও সাহেবের যাওয়ার কথা ছিল। ইউএনও সাহেব ব্যস্ততার কারণে যেতে না পারায় আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এটি একটি এনজিও’র খাদ্য সামগ্রী বিতরণের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে কে জামায়াতের নেতা ছিল তা আমার জানা নেই।
গত বছরেও আমি একই এনজিও’র পক্ষ থেকে কোরবানি ঈদে গরুর মাংস বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। এগুলা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, এগুলো সঠিক নয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবীব রানা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তিনি স্বীকার করেন মাওলানা মহিউদ্দীন আহম্মেদ ও মোশারফ হোসেন থেতরাই ইউনিয়ন জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ নেতা।