বিশেষ প্রতিবেদন

একটি সেতুর অভাবে ১৫ গ্রামের ৬০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

  প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২০ , ৭:৪৬:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধানকুনিয়া-বিন্যাবাড়ী গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত গুমানী নদীতে একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুইপাড়ের ১৫ টি গ্রামের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। দীর্ঘেিনও সেতু নির্মাণ না হওয়ায় নদী পারাপারের জন্য এলাকাবাসী চাঁদা তুলে বাঁশের চারাট সাঁকো তৈরি করে নিয়েছেন। সেই সেই চারাট দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন হাজারো মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের চারাট(সাঁকো)দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বেশী স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী। যাতায়াতের বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের চারাট দিয়েই বাধ্য হয়েই অনেক কষ্টে যাতায়াত করছেন এলাকাবাসী। এমপি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো কাজ হয়নি।

গুমানী নদীর তীরে রয়েছে একটি হাট, ধানকুনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ধানকুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল, একটি মাদ্রাসা ও কমিউনিটি ক্লিনিক। এছাড়া দু’পাড় মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ১৫ টি গ্রাম। এসব গ্রাম মিলিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করেন প্রায় ষাট হাজার মানুষ। বিন্যাবাড়ি, গৌরনগর, বরদানগর, লাঙলমোড়া, চরনবীণ, কুকড়াগাড়ি, কাটেঙ্গা, উত্তর সেনগ্রামসহ প্রায় পনেরোটি গ্রামের মানুষকে বর্ষাকালে খেয়া নৌকায় নদী পারাপার হন। শুকনো মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের চারাটে পারাপার হয়ে থাকেন। সেতুর অভাবে ওই এলাকায় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও গড়ে ওঠেনি। কৃষকদেরও উৎপাদিত ফসল হাটে-বাজারে নিয়ে যেতে পারেন না। তাই ঘরে বসেই ফরিয়াদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে হয়।

 
গৌরনগর গ্রামের নাজমুল হোসেন জানান, নির্বাচনের সময় এলে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু নির্বাচনের পরে আর কোনো খবর নেন না। আমাদের কষ্ট তেমনই থেকে যায়। ধানকুনিয়া গ্রামের ফিরোজুর রহমান জানান, বৃষ্টির দিনে বাঁশের চারাট পিচ্ছিল হয়ে যায়। শিশুরা স্কুলে যাতায়াত করতে গিয়ে ও মোটরসাইকেল চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। এছাড়া রোগী পারাপার করতেও অনেক কষ্ট হয়। তাই সেখানে একটি সেতু নির্মাণ করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন বলেন, অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি। এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। তবে ৩ বার নির্বাচিত এমপি সেখানে সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দেখা যাক তিনি কি করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, আমি এখানে নতুন ক’মাস আগে এসেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে জেনে আমি ডিসি স্যারকে জানাব।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by