বাংলাদেশ

‘এক দিনে ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা বিশ্বে রেকর্ড’

  প্রতিনিধি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৫:২৮:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি এক দিনে আমাদের এক কোটি ডোজ করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু দিন শেষে আমরা এক কোটি ১১ লাখ প্রথম ডোজ এবং আরো ৯ লাখ টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি।

এটি নিঃসন্দেহে বিশ্বে প্রথম ঘটনা। এর আগেও আমরা এক দিনে ৮০ লাখ ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি।

এই কার্যক্রম সফল করতে আমাদের এক লাখেরও বেশি মানুষ কাজ করছে। বিশ্বের বহুসংখ্যক দেশেরই এক কোটির বেশি মানুষ নেই। সেখানে দিনে এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার সক্ষমতা আমাদেরকে করোনা মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম করেছে এবং বিশ্বের দশম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ’

আজ রবিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রায় চার হাজার নবনিয়োগকৃত চিকিৎসকের ওরিয়েন্টশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি ডোজ টিকা দেশের মানুষকে দিতে সক্ষম হয়েছি। এতে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৩ ভাগ এবং আমাদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় শতভাগ সম্পন্ন করতে পেরেছি। ‘

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একটি দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা দরকার। টিকা গ্রহণে দেশের মানুষের উপচে পড়া উপস্থিতি দেখে আমরা আমাদের টিকাদান কার্যক্রম ২৬ ফেব্রুয়ারির পর আরো দুই দিন বাড়িয়েছি। এতে আমাদের ভাসমান জনগোষ্ঠীসহ অনেক টিকা অগ্রহণকারী ব্যক্তিও এই টিকার আওতায় চলে আসবে। এই টিকাদান কার্যক্রম সঠিকভাবে চলার কারণে এবং দেশের মানুষ অধিক হারে টিকা গ্রহণ করার ফলে আমরা এখন করোনায় বিশ্বে অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি। এতে আমাদের অর্থনীতির চাকা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। দেশের জিডিপি এখন ৬ প্লাস হয়েছে। অথচ বিশ্বের অনেক দেশেরই জিডিপি মাইনাস হয়ে গেছে। ’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় উপস্থিত নবনিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের নিজ নিজ পোস্টিংকৃত এলাকায় যোগদান করে নিজেদের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের নির্দেশনা দেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগে দেশে মাত্র ১৮ হাজার চিকিৎসক ছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নতুন করে ১৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। আগে দেশে নার্স ছিল মাত্র ২০ হাজার। গত পাঁচ বছরেই আরো নতুন করে ২০ হাজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং আরো অনেক নার্স, চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে। এর সাথে বেসিক বিষয়ের চিকিৎসকও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তবে সব কিছুর লক্ষ্য হচ্ছে ভালো মানের চিকিৎসাসেবা। সেই ভালো মানের চিকিৎসা দিতেই সরকার আপনাদের নিয়োগ দিল। আপনারা নিজ নিজ কর্মস্থলে গিয়ে অসহায়, দরিদ্র মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। সরকার আপনাদের আবাসন সুবিধাসহ সকল ধরনের সুবিধা বৃদ্ধি করবে। ‘

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহসহ অন্যরা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by