চট্টগ্রাম

এমভি আব্দুল্লাহ’র নাবিকদের মুক্তির ইতিবাচক আলোচনা এগিয়েছে

  প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২৪ , ৭:১৬:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

এমভি আব্দুল্লাহ’র নাবিকদের মুক্তির ইতিবাচক আলোচনা এগিয়েছে

সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে আটক হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লায় বন্দী ২৩ নাবিকের ঈদের আগে মুক্তির বিষয়ে কিছুটা কাজ এগিয়েছে বলে জাহাজটির মালিকপক্ষের বরাতে জানা গেছে।

জিম্মি নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করতে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আলোচনা চূড়ান্ত না হলেও উভয়পক্ষ কিছুটা ঐক্যমতে পৌঁছেছে বলে জাহাজটির মালিকপক্ষ জানিয়েছে। জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জিম্মি নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করার লক্ষ্যে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনও চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।

ঈদ উল আযহার আগেই যত দ্রুত সম্ভব নাবিকদের ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এদিকে, সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ আব্দুল্লাহ হতে মজুদ খাবার পানি ফুরিয়ে আসছে। ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি মজুদ ছিল জাহাজে। ইতিমধ্যে নাবিকদের রেশনিং করে পানি সরবরাহের ধাপটি শুরু হয়েছে। খাবারের বিষয়ে মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজে পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে, তবে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এখন আব্দুল্লাহ জাহাজে পানি রেশনিং করা হচ্ছে।

নাবিকদের খাবার নিয়ে আশা করি সমস্যা হবে না। কারণ জাহাজে মজুদ খাবার ফুরিয়ে এলে জলদস্যুরা নাবিকদের খাবার সরবরাহ করে থাকে। পানি সংকটের বিষয়ে জিম্মি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকের পরিবারের সদস্যরাও একই তথ্য জানিয়েছেন।

এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য প্রায় ২৫ দিনের হিমায়িত খাবার মজুদ ছিল। তবে শুকনো খাবার অনেক দিনের জন্য মজুদ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

বর্তমানে জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by