চট্টগ্রাম

কক্সবাজারে উম্মোচিত নতুন পর্যটন প্রকল্প ‘নিভৃতে নিসর্গ’

  প্রতিনিধি ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ৪:০৯:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

বি এম হাবিব উল্লাহ, জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর পর্যটন জোনের সম্ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি সময়ে দৈনিক ভোরের দর্পন সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাদ দিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ হলে, পাহাড় ও নদীর মিতালিতে কক্সবাজারের নতুন পর্যটন স্পট চকরিয়ার মানিকপুর পর্যটন জোন নিভৃতে নিসর্গ পার্ক প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন। শনিবার তিনি মানিকপুর পর্যটন জোনে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক।

 

পরে পর্যটন জোনের প্রবেশমুখে জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন পর্যটন স্পট হিসেবে মানিকপুর নিভৃতে নিসর্গ পার্ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.মাসুদুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট মোহাং শাহজাহান আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.আল আমিন পারভেজ, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো.তানভীর হোসেন ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম প্রমুখ। পরে জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন ও অতিথিবৃন্দ পর্যটন জোন ঘুরে ফি্ের দেখেন।পাহাড়-নদীর মিতালীতে ভরপুর নতুন এই পর্যটন জোন দেখে অভিভুত হয়েছেন তারা। এরপর জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন পর্যটন জোনে বয়ে চলা মাতামুহুরী নদীতে নৌকা ভ্রমণে অংশ নেন।

গত ২৬ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন ‘নিভৃতে নিসর্গ’কে পর্যটন স্পট হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর অপরূপ শোভা দর্শনের জন্যেও সবাইকে আমন্ত্রণও জানানো হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যে, কক্সবাজারের আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা সব সৌন্দর্যের আধার সমূহকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে জেলা প্রশাসনের অবিরাম প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

পর্যটন জেলা কক্সবাজারের নতুন পর্যটন স্পট মানিকপুরকে ঘিরে এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের উজ্জল সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। পাহাড়ের নৈগর্সিক সৌন্দর্য অন্যদিকে পাহাড় লাগোয়া মাতামুহুরী নদীর জলরাশি ভ্রমন পিপাসুদের মাঝে দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। পাহাড় নদীর এই অপরূপ সানিধ্য পেতে এখন মানিকপুর ছুটে যাচ্ছেন ভ্রমনপিপাসু মানুষ।পর্যটন জোনকে আকর্ষনীয় করে তুলতে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সম্প্রতি সময়ে পর্যটন জোনের উন্নয়নে প্রদক্ষেপও নিয়েছেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন প্রকল্প অনুমোদন সাপেক্ষে পরিকল্পিতভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমেও মানিকপুর পর্যটন জোনকে ঢেলে সাজাতে কাজও শুরু করেছেন ।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন,

মানিকপুরের পর্যটন জোনকে পর্যটকদের জন্য আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দাবি, বিপুল সম্ভাবনাময় পর্যটন খ্যাত হিসেবে চিহ্নিত দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটকের কাছে প্রতিনিয়ত আকর্ষণ করছে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলো। কিন্তু যাতায়াতের অসুবিধা, অনুপযোগী চলাচল ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফেলতি, স্থল ও জলপথের নানা ভোগান্তি, দর্শনীয় স্থানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব এবং প্রচার-প্রচারণা না থাকায় এগুলো পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে না। স্থানীয় জনগন কক্সবাজারের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্যে এই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত পর্যটন স্থান সমূহ ও প্রাচীণ ঐতিহ্যগুলোকে মেরামত করার দাবি জানান ।

কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন জানান, কক্সবাজারে দর্শনীয় অনেক কিছুই আছে, যা এখনো পর্যটকদের কাছে অজানা। ফলে তারা অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে সন্তুষ্ট হতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারলে পর্যটন সমাগম বাড়বে এবং সরকারি খাতেও আয় হবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এক্ষেত্রে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিৎ।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by