চট্টগ্রাম

কক্সবাজার সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনে লাখো মানুষের ঢল

  প্রতিনিধি ১৫ অক্টোবর ২০২১ , ৭:০০:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

শুক্রবার বিকেল তিনটা, একে একে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে আস্তে শুরু করে ৩০৪ মণ্ডপের প্রতিমাগুলো। শুধু সনাতনী সম্প্রদায় নয়, সব ধর্মের মানুষের ঢল নামে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে। এ সময় এসেছেন বিদেশিরাও।

ঢোল, তবলা, বাঁশিসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সৈকতে ভিড় জমায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তারা একে-অপরকে রং ছিটিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন। বর্ষণমুখর বিকেল ৫টার মধ্যেই সৈকতের লাবণী পয়েন্টের এক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এ সময় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরাও ভিড় করেন কক্সবাজার সৈকতে। জাতি-ধর্মনির্বিশেষে স্থানীয়দের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।

সবার আগমনে বাংলাদেশ যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে অনন্য একটি দেশ, এটি তার প্রমাণ বলে মনে করছেন সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষ।

এদিকে বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন। জেলা পুলিশের পাশাপাশি, বিচকর্মী, ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ও সাদাপোশাকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতের মুক্ত মঞ্চে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার পৌরসভার সহযোগিতায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজারের সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের এ অনুষ্ঠানটি এ দেশের অন্যতম বড় অনুষ্ঠান। আর এ বিসর্জন অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্মনির্বিশেষে লাখো মানুষের মিলনমেলা আরও একবার প্রমাণ করে, এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলায় ৩০৪টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। যার মধ্যে ১৪৯টি প্রতিমাপূজা ও ১৫৫টি ঘটপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১১ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পূজামণ্ডপগুলোতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by