প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২০ , ৭:১১:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের খরমহরী গ্রামের বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হাবিব আল আজাদ (৭৪) আর নেই। গত বুধবার দুপুর ১:২০ মিনিটের সময় তিনি নিজবাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ওইদিন রাতেই মরহুমের বাড়িতে ছুটে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজাপূর্ব আলোচনায় প্রয়াত হাবিব আল আজাদের জীবন-কর্ম ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র আসাদুল হক ভূইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া, গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বাবলু, সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহাগ, বদরুনূর চৌধুরী লিপন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুল হক সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, প্রয়াত হাবিব আল আজাদের ছেলে তৌহিদ ইকবাল প্রমুখ। জানাজা শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে হাবিব আল আজাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের ১ অক্টোবর কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা (খরমহরী) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হাবিব আল আজাদ। তিনি কাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়ে পুরোপুরিভাবে সাহিত্য সাধনায় নিয়োজিত হন। চর্চা সাহিত্য আড্ডার উপদেষ্টাসহ তিনি কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি নাটক, গল্প, উপন্যাস ও সংগীত বিষয়ক ৩৩টি বই রচনা করেছেন। এসব গ্রন্থের মধ্যে উপন্যাস-‘গহর মাঝির দিঘি’, ‘অমিয় প্রেম ধারা’, নাটক- ‘বাংলা আমার দেশ’, ‘আমি বিজয় দেখেছি’, গল্পগ্রন্থ- ‘ট্রেন থেকে দেখা’, ‘প্রত্যাশার অপমৃত্যু’, ‘বিধ্বস্ত হৃদয়ের কান্না’ উল্লেখযোগ্য। কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ হাবিব আল আজাদ ২০১৭ সালে ‘চর্চা সাহিত্য আড্ডা পুরস্কার’ লাভ করেন।