বাংলাদেশ

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ : মির্জা ফখরুল

  প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২১ , ১১:৪৯:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পন ডেস্ক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদাসীনতা ও অজ্ঞানতা রয়েছে এবং সব কিছুতে দুর্নীতি করার চেষ্টা করে তারা। এখানেও কী করে একটা দুর্নীতি করা যায়, সেটাও করেছে এবং তারা দুর্নীতি করতে সফলও হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার পর্যন্ত শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল। এসব দুর্নীতির বিষয়গুলো পত্রপত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। সরকার কখনোই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সঠিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি এবং তার উদ্যোগও আমরা দেখিনি। একি সাথে আমরা সরকারের উদাসীনতা, অনবিজ্ঞতা লক্ষ্য করেছি।

পুলিশকে বিচারক ক্ষমতা দেওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া এই করোনার জন্য এটা হচ্ছে, এটা ঠিক হয়নি। পুলিশ কি করবে এটা আপনারা আমরা সবাই জানি। মাঝখান থেকে যেটা হবে সেটা হলো জনগণ ও সাধারণ মানুষের হয়রানি আরও বাড়বে।

লকডাউনকে ক্রাকডাউন আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, লকডাউন এখন আরেকটা সুযোগ নিয়েছে, লকডাউন এখন ক্রাকডাউন করেছে বিরোধীদলের উপরে। ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে; এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে সরকার। এরপর ধর্মীয় সংগঠনগুলো ও বিরোধীদলের ওপর তারা আক্রমণ করেছে।

করোনায় দুরপাল্লার বাস বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে, লকডাউন ভাল কথা। লকডাউনে গণপরিবহন ও সব জেলার ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু মানুষ হেঁটে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছে এবং ৫ জন পদদলিত হয়ে মারা গেল ফেরিতে উঠতে গিয়ে। আমরা সে দৃশ্যগুলো দেখেছি। আমাদের প্রশ্ন হলো আগে থেকে আপনার কেন এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেননি? কেন আপনারা বুঝবেন না যে এই লোকগুলো যেতে চাইবে তাহলে যদি গণপরিবহন ছেড়ে দিত তাহলে এ মানুষগুলো সহজেই চলে আসতে পারত। তাহলে এই সমস্যাগুলো তৈরি হতো না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by