প্রতিনিধি ৩১ মে ২০২০ , ৭:৪৮:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : মহামারী করোনা ভাইরাসের কড়াল ছোবলে সারা পৃথিবী যখন থমকে গেছে লগডাউনে কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষ অনাহারে–অর্ধাহারে দিনাতিপাত করে দারদ্রিতার সাথে প্রতিনিয়িত যুদ্ধ করতে করতে পরিশ্রান্ত উপকূলের দিন মজুর সাধারন মানুষ, ঠিক তখনি প্রবাল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দরিদ্র দিন মজুর আঃ মান্নান নঈম ভান্ডারী একামত্র মাথা গোজার ঠাই টিনশেট কাঁচা ঘরটি কেড়ে নিল প্রলয়ংকারীর ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।
উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান নঈম ভান্ডারির বসত ঘরটি আম্পানে বয়ে জাওয়া প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে বসত ঘরটি লন্ডবন্ড হয়ে যায়। কয়েক দিন অতিবাহিত হলেও কোন সরকারী সাহায্য কিংবা ঘর মেরামতের বরাদ্দ পাননি তিনি। থেমে থেমে বর্ষা আসছে এরই মধ্যে আবার রোদ বৃষ্টিতে ভিজে চালা বিহিন ঘরেই নিরুপায় হয়ে বসবাস করছেন তার পরিবার পরিজন নিয়ে। যখন আকাশে কালো মেঘ দেখেন তখনই ভান্ডারির পরিবার খোলা আকাশের দিকে চেয়ে কাঁদেন। করোনার লকডাউনে দিনমজুরি নাঈম ভান্ডারির কাজ বন্ধ থাকার পরে আবার কপালে দূভোর্গের ভাজ পড়লো ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সব মিলিয়ে এই পরিবারটি চরম দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
দিন মজুর মান্নান নাঈম ভান্ডারির সাথে কথা হলে তিনি জানান, অনেক কষ্ট করে একটি ঘর উঠিয়ে ছিলাম স্ত্রী, ছেলে–মেয়ে নিয়ে কোন রকমে থাকতাম। ঘূর্নিঝড় আম্পানে আমার ঘরটি যেন লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। আমি এখন পর্যন্ত কারো সাহায্য সহযোগিতা পাইনি, সরকারের কাছে আমি একটি ঘর দাবী করছি। এ ব্যাপারে ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সিকদার জানান,সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে দাখিল করার জন্য।