ঢাকা

কেজিতে তরমুজ বিক্রি, ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড়

  প্রতিনিধি ৩০ এপ্রিল ২০২১ , ৭:০৮:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা সদরসহ প্রতিটি হাট-বাজারে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজ ৩৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে একটি তরমুজ ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকায়। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেট করে তরমুজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কৃষকের কাছ থেকে একটি তরমুজ ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে কিনছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। সেই তরমুজ শহর এলাকায় নিয়ে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। গতকাল উপজেলার বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র রামদিয়া গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘কেজিতে তরমুজ বিক্রি’ নিয়ে চলছে নানা ধরণের স্ট্যাটাস ও প্রতিবাদের ঝড়।

সাইফুর নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুক আইডিতে তরমুজের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আফসোস অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর কারসাজিতে এবার অনেক অসচ্ছল পরিবার এই মৌসুমে তরমুজ খাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন। একে তো প্রচুর দাম, অপরদিকে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।’

হুমায়ূন কবীর সুমন নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘সাধারণ তরমুজ সিন্ডিকেটের কাছে আমরা জিম্মি। অথচ তারা প্রশাসনের নাকের ডগায় ব্যবসা করছেন।’

গোপালগঞ্জের ফেরিওয়ালা নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে সাবরিধা বিনতে নামে এক তরুণী লিখেছেন, ‘মাত্র ১০টা দিন তরমুজ কেনা বন্ধ করলে ব্যবসায়ীরা সোজা হয়ে যাবে। তরমুজ পচা শুরু করবে তখন। কেজিতে বিক্রি করতে পারবে না। বয়কট তরমুজ।’

একই গ্রুপে কৌশিক মল্লিক কর্ণ নামে অপর এক যুবক লিখেছেন, ‘আগে একটা তরমুজ ২০ টাকা থেকে ৫০/৬০ টাকা দিয়ে কিনতাম। এখন সেই তরমুজ কেজি দরে বিক্রি করায় ৪০০/৫০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। যেটা সাধারণ মানুষের পক্ষে কিনে খাওয়া অসম্ভব। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় এটা নিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে গোপালগঞ্জে এর জন্য একটু প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’

তরমুজ ক্রেতা মো. গিয়াস উদ্দিন (৬০) বলেন, একটা মাঝারি ধরনের তরমুজ কেজি দরে ৩০০/৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। অথচ পিস অনুযায়ী এটা ৫০/৬০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। সিন্ডিকেট করে তরমুজ বাজার এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

তরমুজের চড়া দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিক্রেতা নাজমুল হাসান বলেন, এখন মাঠে তেমন একটা তরমুজ নেই। তাই বাজারে তরমুজের সরবরাহ কমে গেছে। যার কারণে তরমুজের দামও বেড়েছে। লকডাউনের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরমুজ শহরে আসতে পারছে না। ট্রাক ভাড়াও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামিম হাসান বলেন, কেজিতে তরমুজ বিক্রি করা আইনত কোনো অপরাধ নয়, তবে কেজির নামে কারসাজি করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে সেটা অপরাধ। এ বিষয় খোঁজ নিয়ে দেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by