প্রতিনিধি ১২ মার্চ ২০২৪ , ৩:৩১:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকা কেরানীগঞ্জে নিলিমা হাউজিং প্রকল্পের নামে অবৈধ আবাসন প্রকল্পের নামে ভূমিদস্যুদের অপতৎপরতা বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার গদারবাগ এলাকায় ভুক্তভোগী তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানান, লিটু আলম , সালোয়ার আলমসহ হুমায়ুন গনির নামের ভূমিদস্যুরা তাদের পৈত্রিক আমল থেকে ৫০ বছর এর ভোগ দখলকৃত ফসলি সম্পত্তি দখল এর জন্য জাল দলিল করে, ড্রেজিং করেছে । ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমি মো. তারেক কামাল, পিতা- মৃত মো. কোরবান আলী, মাতা- তাছলিমা বেগম, ঠিকানা- কুশিয়ারবাগ, জিনজিরা, ডাকঘর- কেরাণীগঞ্জ-১৩১০, থানা- কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা।
আমার মাতামহ মো. হাবিবুর রহমান, পিতা মৃত আব্দুস সামাদ, স্থায়ী ঠিকানা- কুশিয়ারবাগ, জিনজিরা, ডাকঘর- কেরাণীগঞ্জ-১৩১০, থানা- কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, বর্তমান ঠিকানা- ৩২ কে,বি, রোড, সূত্রাপুর, থানা- গেন্ডারিয়া, জেলা- ঢাকা। আমাদের কেরাণীগঞ্জ উপজেলার গদারবাগ, ব্রাহ্মণকীর্ত্তা, ধীৎপুর, রায়তন্ত্রী মৌজায় তার নিজ নামে এবং তার স্ত্রী হাসিনা বেগম, পুত্রগণ হাফিজুর রহমান, মতিউর রহমান, ও মজিবুর রহমান এদের নামে বিভিন্ন দাগ সমূহের সম্পত্তি খরিদ করেন।
এই সকল সম্পত্তি হতে দীর্ঘদিন যাবৎ চাষাবাদ করে এলাকার গরীব কৃষকেরা ধান, শরিষা, পাট সহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষাবাদ করে সংসার পরিচালন করতো। সাম্প্রতিক আমাদের মালিকানাধীন কিছু সম্পত্তি অবৈধ দখলের পথে যেটি কেরাণীগঞ্জ উপজেলার গদারবাগ মৌজার সি,এস ও এস,এ- ২৭৭ ও ২৭৮নং দাগের ২৩৯ শতাংশ। এই সম্পত্তি বিগত ১৯৬১ সালে সদর জয়েন্ট রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ২৩৪৮নং দলিলের মাধ্যমে নেকরোজবাগ নিবাসী হাজী মোহাম্মদ লাল মিয়ার পুত্র মো. আলম গনির নিকট হতে এবং ঐ তারিখে ঐ অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ২৩৪৯নং রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে হাজী মোহাম্মদ লাল মিয়ার অপর পুত্র মোহাম্মদ ওসমান গনির নিকট হইতে খরিদ করত আমাদের পূর্বসূরী মোসাম্মৎ হাসিনা বেগম খরিদ করে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় তাঁর মৃত্যুতে আমরা অত্র সংবাদ সম্মেলনকারীগণ ওয়ারিশ হিসেবে মালিক।
বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে কেরাণীগঞ্জ বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠেছে। সেই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন অসাধু, দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু অবৈধ ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অবাধে জমি ক্রয় বিক্রয়ের মহোৎসব চালাচ্ছে। আমরা জানতে পারি যে, অভিযুক্ত ভূমি দস্যুরা আমাদের মালিকানাধীন সম্পত্তি যা আমাদের পূর্ববর্তীরা যাদের কাছ থেকে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন অর্থাৎ পূর্বে যারা সম্পত্তি বিক্রয় করেছেন তাদের ওয়ারিশগণকে বিকৃত জমিগুলো পুনরায় টাকার লোভ দেখিয়ে ভুয়া, বানোয়াট পাওয়ার দলিলের মাধ্যমে ক্ষমতাগ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলার গরীব অসহায় মানুষের কাছে বিক্রয় করে তাদের সর্বশ্রান্ত করে চলছে।
কেরাণীগঞ্জে গড়ে ওঠা অনেক আবাসন প্রকল্প সঠিকভাবে নিয়ম নীতি মেনে কর্ম সম্পাদন করলেও অভিযুক্ত ভূমিদস্যুরা নিলিমা হাউজিং সোসাইটি নামে একটি ভূমি দস্যু গোষ্ঠী অবৈধভাবে কোন পত্র বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বিভিন্ন মানুষের কৃষিজমি দখলে নেওয়ার এক সুচারু ও সুকৌশলী ফাঁদ পেতে বসেছে যা বাংলাদেশে প্রচলিত আইন এবং সাম্প্রতিক সময়ে পাশ হওয়া ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর মত।
ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেও এখনো সমাধান পায়নি বলে জানান।