খুলনা

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের

  প্রতিনিধি ২২ জুলাই ২০২০ , ৮:৩৯:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

বাগেরহাট প্রতিনিধি :পবিত্র কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যাস্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে বাগেরহাট জেলার কামার শালাগুলো। কিন্তু এ বছর করোনা ভাইরাসের কারনে কাজের চাপ অন্য বছরের চেয়ে অনেক কম। তাই কাজ চলছে ধীর গতিতে। বাগেরহাট শহরের কামার পট্টিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামার শিল্পীরা দা, বটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি তৈরি করতে এখন ব্যস্ততা বাড়ছে। কাজের চাপ থাকলেও মজুরি নিয়ে সন্তুষ্ট নন তারা। বাগেরহাট শহরের কামার পট্টিতে, সদর উপজেলার যাত্রাপুরসহ বিভিন্ন হাটবাজার কামারদের বাড়িতে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বঁটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছেন কামাররা। এসব ব্যবহার্য জিনিস জেলা শহরের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন হাটবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাজার থেকে লোহা কিনে সেগুলো পুড়ে দা, বঁটি, চাপাতি, চাকুসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করছেন কামাররা। বর্তমান আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমতে শুরু করেছে এ শিল্প। শহরের কামার পটির শংকর কর্মকার এ প্রতিনিধিকে বলেন, মেশিনের সাহায্যে বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে ফলে আমাদের তৈরি যন্ত্রপাতির প্রতি মানুষ আকর্ষণ হারাচ্ছে। হয়তোবা এক সময় এই পেশা আর থাকবে না। তবে কুরবানির ঈদের সময় আমরা একটু আশাবাদী হই। আমাদের বাপ দাদার পেশা বলে শত কষ্টের মধ্যেও ধরে রেখেছি। সারা বছর তেমন কোনো কাজ না থাকলেও কুরবানির সময় আমাদের কাজের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে এ বছর করোনার ভাইরাসের কারনে আমাদের সেটাও সম্ভব হবেনা বলে জানান। শৈলেন কর্মকার হোসেন বলেন, আমরা সারা বছর অলস সময় পার করলেও কোরবানীর ঈদ আসলেই অধিক শ্রম দিয়ে বেশি আয়ের স্বপ্ন দেখি। কিন্তু কয়লা ও লোহার দাম বেশি হওয়ায় আমাদের সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যেতে বসেছে। ছুরি, বটিসহ লোহার বিভিন্ন রকমের যন্ত্রপাতি তৈরীতে আমাদের ব্যায় বেশি হলেও উপযুক্ত মূল্যে কিনছেন না ক্রেতারা। ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকী থাকলেও আমাদের তৈরী যন্ত্রপাতির বিক্রি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছি আমরা। কামার শ্রমিক আনন্দ কর্মকার অভিযোগ করে বলেন, বছরে এই সময় চাপাতি, ছুরি, বটির চাহিদা বেশি থাকে। লোহা, কয়লার দাম বৃদ্ধি এবং পরিশ্রমও করতে হয় বেশি। সেই তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারা দিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়। ফলে বিভিন্ন ধরেনের সমস্যা শরীরে তৈরি হয়। যে কারনে এখন অনেক কর্মকাররা এগুলো বানাতে উৎসাহ হারাচ্ছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by