দেশজুড়ে

চসিকের মেয়র পদ শূন্য, প্রশাসক সুজন

  প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২০ , ২:৫৫:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের পদ আগামীকাল বুধবার (৫ আগস্ট) থেকে শূন্য হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে চসিকের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে নির্ধারিত সময়ে ভোট করতে না পারায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন (সিটি করপোরেশন) আইনে বলা আছে, করপোরেশনের প্রথম সভার তারিখ থেকে পাঁচ বছর হবে এর মেয়াদ। আর করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।

আ জ ম নাছির চট্টগ্রামের মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০১৫ সালে ৬ অগাস্ট। সে হিসাবে এ সিটির বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৫ অগাস্ট।

মেয়াদপূর্তির ১৮০ দিনের মধ্যে এ সিটির নির্বাচন করতে ২৯ মার্চ ভোটের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। কিন্তু মহামারির কারণে ভোটের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ তা স্থগিত করা হয়।

পরে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে এক চিঠিতে বলে, বর্তমানেও করোনা প্রভাব অব্যাহত থাকায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং অতি বৃষ্টি ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা বিবেচনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়াদকালের মধ্যে অর্থাৎ ৫ অগাস্টের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না বলে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

এই অবস্থায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের যে প্রশাসক বসানো হবে, তা সেদিনই জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন (সিটি করপোরেশন) আইনের ২৫ ধারায় (অবস্থা বিশেষে প্রশাসক নিয়োগ) বলা হয়েছে-

নতুন সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করা হলে অথবা কোনো সিটি করপোরেশন বিভক্ত করা হলে অথবা কোনো সিটি করপোরেশন মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সরকার নতুন সিটি করপোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে।

প্রশাসকের কাজে সহায়তার জন্য সরকার প্রয়োজন মনে করলে একটি কমিটিও করে দিতে পারবে। প্রশাসক এবং সেই কমিটির সদস্যরা মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে ১৮০ দিনের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারবেন না প্রশাসক।

স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক বসানো হলেও সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে বর্তমান প্রার্থীরাই বহাল থাকবেন এবং যেখানে ভোট স্থগিত হয়েছিল সে অবস্থা থেকে নির্বাচন হবে।

তবে মৃত্যজনিত যেসব পদ এর মধ্যে শূন্য হবে সে বিষয়ে কমিশন তখন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মিনার), এনপিপির আবুল মনজুর (আম), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) ও স্বতন্ত্র খোকন চৌধুরী (হাতি)।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by