জনগণের পাশে থেকে দৃষ্টান্ত গড়েছেন এমপি অসীম-অপু দম্পতি

মজিবুর রহমান, কেন্দুয়া : এলাকায় না থেকে করোনাকালে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। আর এই ক্ষেত্রে টানা ৫১ দিন নির্বাচনী এলাকায় জনগণের পাশে থেকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এমপি অসীম কুমার উকিল–অপু উকিল দম্পতি। বৈশ্বিক এই দুর্যোগে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ত্রাণের জিনিসপত্র আত্মসাতের ও আর স্থানীয় এমপিদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ উঠেছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রাক্কালে বসন্তের কোকিলের ন্যায় ব্যবসায়ী, কোটিপতি ও ধনীরা এলাকায় ছুটে আসেন সোনার হরিণ দলীয় টিকেট লাভের আশায়। জনগণ ও নেতাকর্মীদেরকে নানান বুলি আওড়িয়ে বাগিয়ে নেয়ার আর নিজেকে বড়ই ন্যায়পরায়ন,দানবীর,জনদরদী বুঝানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মনোনয়নের প্রতিযোগিতা শেষ তারদের দৌঁড়–ঝাপের ইতি ঘটিয়ে চলে যান পূর্বের গন্তবে। জনগণ ও মাঠে খবর আর নেন না।

করোনা পরিস্থিতে অনেক এমপিরা রয়েছেন, তারা ঢাকায় বসে আছেন এলাকার কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। এই রকম অভিযোগও গণমাধ্যমে ওঠে এসেছে। তবে সমালোচনার মধ্যেও কিছু কিছু এমপি ও জনপ্রতিনিধি এলাকায় নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণের অভাব অনটন দুঃখ দুর্দশা দূর করার জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন এবং জনগণের ভালবাসায় তারা সিক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে নেত্রকোণা–৩ (কেন্দুয়া–আটপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল একজন।

দেশে বৈশ্বিক এই দুর্যোগ শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিনি ঢাকায় বসে না থেকে গত ৩০ মার্চ রাতে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ছুটে এসেছেন এবং আজও অবধি অবস্থান করে স্থানীয় প্রশাসন ও নেতাকর্মীদের মনে সাহস ও প্রেরণা জোগাচ্ছেন। এবং সরকারি ত্রাণ ও ব্যক্তিগত সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন দুস্থ, কর্মহীন ও নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে। চলমান করোনার সংকটময় সময়ে কৃষকের বোরো ফসল ঘরে তুলার জন্য জীবনের ঝুঁকি তারা স্বামী–স্ত্রী হাওড়ের পর হাওড়ে ছুটে ছলেছেন। কৃষকের ধানকাটার জন্যে বেশ কয়েকটি আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করেছেন।

জেলায় করোনার হটস্পট কেন্দুয়ায় বলাচলে। ইউএনও, ওসি,নার্স ও ৮ পুলিশ সদস্যসহ কেন্দুয়া উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। এমন পরিস্থিতিতে মাঠে থেকে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা, সরকারি কর্মকর্তা ও হাসপাতালের চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের দিক–নির্দেশনা দিয়ে পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন খুব সুচারুভাবে। আসন্ন ঈদুল ফেতরকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে কর্মহীন ও দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে নতুন বস্ত্র বিতরণ করছেন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে।

কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল কাদির ভূইঁয়া বলেন, করোনার এই দুর্যোগে এলাকায় অবস্থান করে সবকিছু সামাল দেওয়া  অসীম কুমার উকিলের মতো এমন জনপ্রতিনিধি বা এমপি সারাদেশে খুব কমই পাওয়া যাবে। তারা স্বামী–স্ত্রী দুই জনেই কেন্দুয়া অবস্থান প্রতিটি বিষয় সুক্ষèভাবে পরিচালনা করছেন। তার দিক–নিদের্শনায় সরকারি কর্মকর্তা,ডাক্তারসহ নেতাকর্মীরা কাজ করছেন। কোন ধরনের অনিয়মকে তিনি প্রশ্রয় দেন না বলে জানান আব্দুল কাদির ভূইঁয়া। অসীম কুমার উকিল এমপি সহর্ধমীনি ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল জানান,আমাদের কোন লোভ নেই। নেই ক্ষমতার দাপট। মানুষকে ভালবাসী তাই মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি।

ইতি পূর্বে অনেক জনপ্রতিনিধি দেখছেন প্রতিবেদকের কাছে এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমরা কোন স্কুল,কলেজ–মাদ্রাসায় সভাপতিত্ত্ব করছি না। আমরা নিয়োগ বাণিজ্যে নেই। আমাদের কোন প্রতিহিংসা নেই। জনগণের মঙ্গলের জন্যে রাজনীতি করি, করোনার এই ভয়াল দুর্যোগে জনগণের পাশে থাকতে না পারলে সে কিসের রাজনীতি করি। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় কেন্দুয়া–আপপাড়াবাসীকে সর্তক, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহবান রাখেন আওয়ামী লীগের পতাকা তলে নারীদের ঐক্যবদ্ধকারী অধ্যাপিকা অপু উকিল আরো বলেন,আমরা স্বামী–স্ত্রী করোনার এই দুর্যোগ মুহুর্তে এলাকার জনগণের পাশে থাকতে পেরেছি এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে অশেষ কৃজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।