মো. আরাফাত রহমান ৭ মার্চ ২০২৪ , ৫:১১:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ছাত্রীদের মধ্যরাতে চা-পানের দাওয়াত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্তরঙ্গ ভিডিও লিংক শেয়ার , কুপ্রস্তাব ও হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে ‘উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) । ৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিন সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার (ডিসি) উম্মে সালমা তানজিয়া এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম আব্দুর রফিক।
উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই তদন্ত কমিটিকে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষী প্রমাণসহ অনতিবিলম্বে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে । এই ঘটনার সাথে প্রাসঙ্গিক অন্য কোন বিষয়ে তদন্তের প্রয়োজন তাও করতে পারবে এই কমিটি। প্রতিবেদনে কমিটিকে অবশ্যই তাদের সুস্পষ্ট সুপারিশ এবং মতামত প্রদানের জন্য বলা হয়েছে ।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক সাজন সাহা এবং মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। মঙ্গলবার তারা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখে , অবশেষে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে বিভাগীয় প্রধান কার্যালয় ছাড়তে বাধ্য হন। অতঃপর বিভাগে কালো পতাকা টানানো, অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং সন্ধ্যায় নজরুল ভাস্কর্যে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা । এছাড়াও ৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও ডিপার্টমেন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা । এর আগে অভিযুক্ত সাজন সাহার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর যৌন হয়রানি ও হেনস্থার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোট ৩১ জন নারী শিক্ষার্থী ।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন একই বিভাগের নারী শিক্ষার্থী সৈয়দা সানজানা ছোঁয়া । এই ঘটনার পর রাত না পোহাতেই আরও শত শত শিক্ষার্থীর সাথে অভিযুক্ত শিক্ষকের আপত্তিকর কনভারসেশনের স্ক্রিনশট বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ফেসবুক গ্রুপে ফাঁস হয় । এরপর তা শিক্ষার্থীদের গণ আন্দোলনে রুপ নেয় ।