শিক্ষা

জাককানইবিতে বন্ধ  ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ বিল ৩৪ লক্ষ টাকা

  প্রতিনিধি ৩০ আগস্ট ২০২১ , ৪:৫৫:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ আরাফাত রহমান, জাককানইবি প্রতিনিধি:
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে এই দীর্ঘ সময়  শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি)।
করোনাকালীন সময়ে সকল বিভাগের দাপ্তরিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বন্ধ একাডেমিক (ক্লাস-পরীক্ষা),আবাসিক হল,লাইব্রেরি, প্রশাসনিক অধিকাংশ দপ্তর বন্ধ,অল্প কিছু দপ্তরে স্বল্প  সময়ের জন্য   কার্যক্রম চলে। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় খুবই অল্প সংখ্যক শিক্ষক রয়েছে ক্যাম্পাসের ডরমিটরি গুলোতে।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ তারপরও ৩৪ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে (২০২০-২০২১)অর্থ বছরে।যেখানে ক্যাম্পাস সচল অবস্থায়
(২০১৮-২০১৯)অর্থ বছরে বিদ্যুৎ বিল ৩৫ লক্ষ ১৮ হাজার।আর (২০১৯-২০২০)অর্থ বছরের বিদ্যুৎ বিল ছিলো ৩৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, দীর্ঘ সময় বন্ধের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বাবদ বিপুল অংকের এ খরচ দেখে হতবাক অনেকেই।অতিরিক্ত বিলের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করছে বলে মত অনেকের।বিশ্ববিদ্যালয়  বন্ধ থাকার প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ বিল  বাবদ বিপুল অংকের অর্থ খরচ সংগতিপূর্ণ নয়।
আবার অনেকের মত মিটার না দেখেই বিল তৈরি করছে বিদ্যুৎ অফিস। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগের দায়িত্বে থাকা কেউ এই বিষয়ে তদারকি করেনা।অনিয়ম না হলে সচল থাকা অবস্থায় ক্যাম্পাসের যে বিদ্যুৎ আসতো প্রায় সমপরিমাণ বিদ্যুৎ বিল এটা কখনোই যুক্তিসঙ্গত নয় কিছু একটা গাফলা রয়েছে বলে জানান অনেকে। এটা সরকারি অর্থের অপচয় যা এড়াতে পারেনা সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড মো হুমায়ুন কবির বলেন,
এখন কেবল আবাসিক হল, বিভাগের ক্লাস  পরীক্ষা গুলো বন্ধ নয়তো সব চালু সেহেতু বিদ্যুৎ বিল এমনটা আসতেই পারে।
সচল ক্যাম্পাসের বিদ্যুৎ বিল আর বন্ধ ক্যাম্পাসের বিদ্যুৎ প্রায় সমপরিমাণ কেন?এই প্রশ্নের জবাবে বলেন,হ্যাঁ তা ঠিক,কিন্তু এই সকল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী দপ্তর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে পারবে।
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো মাহবুবুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টার  পরেও ফোন রিসিভ করে নাই। এক পর্যায়ে ফোন বন্ধ করে ফেলে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসাইন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিল এর বিষয়ে আমরা বলতে পারবো না, যারা বিদ্যুৎ মিটার দেখে বিল তৈরি করে তারা বলতে পারবে অতিরিক্ত বিল কেন। আর আমরা প্রতি মাসে বিলে পে করে থাকি একত্রে এক বছরের বিল কত আমাদের দপ্তর জানে না।
Bangladesh power Development Board (BPDB) ত্রিশাল ব্রাঞ্চের বিদ্যুৎ প্রকৌশলীকে অনেক ফোনের পর যোগাযোগ মেললো ফারুক হোসেন সাথে, তিনি বলেন আমি কয়েক দিন যাবৎ অসুস্থ তাই ফোন রিসিভ করতে পারি নাই। বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে আমি কিছু জানি না, যারা বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে ওনাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by