শিক্ষা

জাককানইবি এলাকায় বাড়ছে ছিঁচকে চোরের উপদ্রব: বিপাকে শিক্ষার্থীরা

  প্রতিনিধি ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ , ৬:৪৮:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. আরাফাত রহমান: জাককানইবি প্রতিনিধি:

চোরের উৎপাত বেড়েই চলেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) আশপাশের মেস ও বাসাগুলোতে। কয়েকদিন পর পরই বিভিন্ন ছাত্রাবাসে ঘটছে চুরির ঘটনা । পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এসব মেস ও বাসায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে চুরের উপদ্রব ।

ছিঁচকে ও গ্রিলকাটা চোরদের উপদ্রবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, চুরির সময় কেউ দেখে ফেললে তাদের আঘাত করতেও দ্বিধা করছে না। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চোর আতংক বিরাজ করছে।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জ্ঞানের গলি এলাকার লুনা মঞ্জিল নামের ছাত্রী মেস থেকে একটি মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরি হয় । এর আগে গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণকৃত আলম ভবন ছাত্রী মেসের জানালার গ্লাস ভেঙে রুমে প্রবেশ করে দুইটি মোবাইল চুরি হয়। ওই মেসের ছাত্রীদের মধ্যেও একই রকম ভয় কাজ করছে। উক্ত মেসের শিক্ষার্থী আইরিন আশা বলেন, ‘ছাত্রী মেসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় প্রায় রাতে দুর্বৃত্তরা জানালায় টোকা দেয়। জানালা ভেঙে চোর রুমে ঢোকার পর থেকে ভয় আরও বেড়েছে।’

এর আগে গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণকৃত আলম ভবন ছাত্রী মেসের জানালার গ্লাস ভেঙে রুমে প্রবেশ করে দুইটি মোবাইল চুরি হয়। ওই মেসের ছাত্রীদের মধ্যেও একই রকম ভয় কাজ করছে। এই মেসের শিক্ষার্থী আইরিন আশা বলেন, ‘ছাত্রী মেসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় প্রায় রাতে দুর্বৃত্তরা জানালায় টোকা দেয়। জানালা ভেঙে চোর রুমে ঢোকার পর থেকে ভয় আরও বেড়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি মেসে অবস্থান করা শিক্ষার্থী শামসুন্নাহার জানান, ‘প্রতিনিয়ত আমাদের শঙ্কায় দিন কাটাতে হয়। প্রশাসন বললেও এখানে কোনো নিরাপত্তার বালাই নেই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, ‘আশপাশের যেসব ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন সেগুলোতে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার আছে। আর অন্যান্য মেসগুলোতে চুরিসহ অন্যান্য দুর্ঘটনার আশংকা থাকলে তাৎক্ষণিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। তবে আশপাশের সব মেসে আমাদের নজরদারি আছে। নিরাপত্তাকর্মীরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছে।’

উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারেরও অধিক। প্রতিষ্ঠার পর প্রায় দেড় দশকে নতুন নতুন বিভাগ চালু করে আসন সংখ্যা বাড়ালেও হল সুবিধা বাড়েনি। বর্তমানে সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে ২৪০ আসন বিশিষ্ট একটি ছাত্র হল ‘অগ্নিবীণা’ এবং একটি মেয়ে হল ‘দোলন চাপা’ চালু রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by