দেশজুড়ে

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুনর্বাসিত করেছিলেন: রাসিক মেয়র লিটন

  প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২৩ , ৮:০৫:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুনর্বাসিত করেছিলেন: রাসিক মেয়র লিটন

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরশেন মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জিয়াউর রহমানের অপশাসনের প্রথম ধাপ ছিল, খুনীদের দায়মুক্তি দেওয়া অর্থাৎ জাতির পিতার হত্যার বিচার করা যাবে না। খুনীরা হত্যা করার পর পরই এ দেশ থেকে চলে যায়। জিয়াউর রহমান স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দিয়ে পুণর্বাসিত করেছেন। তার আমলে সেনা ছাউনিতে কোন অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় হাজার হাজার সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর জোয়ানসহ অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল।


তিনি বলেন, তারা আজ গণতন্ত্রের কথা বলে। জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পরে তারা ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের একটি অংশ হিসেবে আবার ঘোষণা দিতে চেয়েছিল। আওয়ামীলীগের পক্ষে কথা বলার অপরাধে তখন নির্যাতন করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান যিনি হা না ভোটের প্রবর্তক। তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে হা বাক্সে ভোট নিয়েছে। কেই না বাক্সে ভোট দিতে পারে না।


লিটন বলেন, আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজকে প্রেসক্রিপশন লেখে, তাদের প্রেসক্রিপশনে আমাদের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে না হলে তাদের আপত্তি রয়েছে। নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, স্বচ্ছ মানে কি? বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে হবে। তাহলে নির্বাচন হবে স্বচ্ছ, না হলে হবে না। আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে দেশ স্বাধীন হয়নি। তাই তাদের প্রেসক্রিপশনে আমরা চলবো না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সকল কলকাঠি নেড়েছিল। পেছনে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যারা জাতির পিতাকে হত্যার জন্য তাদের তৎকালিন রাষ্ট্রদূতকে দিয়ে মেজর ডালিম ও রশিদকে ডেকে নিয়ে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছিল।


আজ মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) বিকেলে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত শোক ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, মাঝখানে বেশ কিছু মানুষ এই এলাকায় জগদ্বল পাথরের মতো ছিলেন, মন্ত্রী-এমপি ছিলেন তারা সিরাজগঞ্জকে ধোকা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন সিরাজগঞ্জ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের মতো সিরাজগঞ্জেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে শোক ও স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামীলীগের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা এমপি, অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, তানভীর শাকিল জয় এমপি, ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল হাকিম। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by