প্রতিনিধি ২৭ জানুয়ারি ২০২১ , ৫:০৩:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
সাহেব আলী, দিনাজপুর :
দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদ তীব্র শীতে কাঁপছে। হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কাজ না থাকায় দিনমজুরসহ কাজ থেকে বঞ্জিত হচ্ছে। কাজ নেই, শীতবস্ত্র নেই। মানুষ হয়ে পড়েছে দিশেহারা। খরকুটা কাগজসহ নানা প্রকার বস্তুতে আগুন দিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া উল্লেখ যোগ্য হওয়ায় ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। ফলে বৃদ্ধ, শিশুসহ মধ্যবয়সি মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। দুই একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে জানিয়েছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। ঘনকুয়াশা ও বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় ট্রেন, বাস, বিমান সহ যানবাহন চলাচলের গতি কমে গিয়েছে। বিরম্ব হচ্ছে ৫/৬ ঘন্টা করে। ঘন কুয়াশায় সূর্যের মুখ এখনো দেখা যায়নি। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন। তিনি জানান, বুধবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের বেলায় স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ২২/২৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস কিন্তু সেখানে ৭/৮ ডিগ্রী কম হওয়ায় শীতের তীব্রতা দিনের বেলায় অনুভুতি হচ্ছে। ঘনকুয়াশা, বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি ও দিনের বেলায় তাপমাত্রা কম থাকায় শীতের তীব্রতা ক্রমান্বয় বাড়ছে। তিনি জানান, বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম রাজারা হাটে ৯ ডিগ্রিী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। এ দিকে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ঘনকুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দিনাজপুরে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়। সন্ধার পর সাবধানতার সাথে যানবাহন চালনার জন্য পরামর্শ দিয়েছে দিনাজপুর পুলিশ।
এদিকে দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদে দিনের বেলা মাঝারী কুয়াশা থাকলেও সন্ধ্যায় এর ঘনত্ব আরও বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে দিনের বেলাতেও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকবে। ফলে অদুরের মানুষজন, বস্তু ও যানবাহন দেখা যাচ্ছে না। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাতেও যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ঘনকুয়াশা আর অব্যাহত তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলের মানুষের। তীব্র শীতের কারনে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষ পড়েছে দুর্ভোগে এবং জীবন ও জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধ্যানে বের হওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষ পড়েছে বিপাকে। খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে নিম্নআয়ের মানুষ।