ময়মনসিংহ

নান্দাইলে শিয়ালের কামড়ে আহত ২, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক

  প্রতিনিধি ১৭ নভেম্বর ২০২২ , ৮:৩২:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নান্দাইল ( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের নান্দাইলে পাগলা শিয়ালের কামড়ে ২ জন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।পাশাপাশি ১ টি গরু ও ছাগলকেও কামড়িয়েছে শিয়াল। শিয়াল আতঙ্কে স্থানীয় লোকজন ঘরের বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের লোহিতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আহতরা হলেন,উপজেলার লোহিতপুর গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিন সরকারের ছেলে মো.সোহরাব উদ্দিন(৫৫), আবুল কাশেমের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী মেয়ে শারমিন আক্তার।

আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

শিয়ালগুলো জঙ্গল, বাঁশঝাড়, ঝোঁপঝাড় ধানক্ষেত ও শিমক্ষেত থেকে লোকালয়ে এসে হামলা করছে বলে নিশ্চিত করেছেন এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, বুধবার দুপুরের দিকে জঙ্গল থেকে ২ টি শিয়াল এসে লক্ষিপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের একটি গরু এবং সোহরাবের একটি ছাগলকে কামড় দেয়। এলাকার লোকজনের তাড়া খেয়ে পাগলা
শিয়ালটি নিজের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সোহরাব উদ্দিনকে কামড় দেয়।শিয়ালের কামড়ে সোহরাব উদ্দিন গুরুতর জখম হন। এরপর নিজ বাড়ির সামনে বসে থাকা অবস্থায় শারমিন আক্তারকে কামড়িয় গুরুতর আহত করে।

পরে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে একটি শিয়ালকে কুপিয়ে মারতে সক্ষম হন।

শিয়ালের কামড়ে আহত এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী শারমিন আক্তারের কাকা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বিকালে হঠাৎ শিয়াল এসে আমার ভাতিজি শারমিনকে
কামড়াতে থাকে। চিৎকার শোনে দৌড়ে এসে শিয়ালের আক্রমণ থেকে শারমিনকে রক্ষা করি এবং দাউ দিয়ে কুপিয়ে একটি শিয়ালকে মেরে ফেলি।

শিয়ালের কামড়ে আহত সোহরাব উদ্দিনের ভাতিজি রৌশন আরা বলেন, কাকা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় দৌড়ে এসে দুটি শিয়াল কাকাকে হাতে কামড়াতে থাকে।এতে কাকার একটি হাত
গুরুতর জখম হয়।বর্তমানে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মো.মজনু নামে এক গ্রামবাসী বলেন, শিয়ালগুলো বেশ বড় বড়। এরা এতটাই সাহসী যে ২-৪ জন লাঠিসোটা নিয়ে তাড়া করলেও বিন্দুমাত্র ভয় পায় না। আমরা এলাকাবাসী খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি।
স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা ঘরের বাইরে এবং স্কুলে যেতে ভয পাচ্ছে।

স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন,ঘটনাটি শোনেছি। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্না কর্মকর্তা ডা.মাহমুদুর রশিদ বলেন, শিয়ালে কামড়ানোর পর আমরা তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দিযে থাকি।বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে শিয়ালে কামড়ানোর কোন ভ্যাকসিন নেই।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by