রংপুর

নীলফামারীতে একই জমিতে তিন ফসল চাষ

  প্রতিনিধি ২৭ মে ২০২১ , ৭:১১:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলফামারী প্রতিনিধি :

নীলফামারীর সংগলশী ইউনিয়নে একই জমিতে এক সাথে তিন ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে। পেঁপে গাছের সঙ্গে মরিচ ও বেগুনের গাছও লাগানো হয়েছে। ফল ধরেছে তিনটি ফসলেই। পেঁপে গাছে পেঁপে, মরিচ গাছে মরিচ ও বেগুন গাছে বেগুনও ফলছে। বেলে দোআঁশ মাটিতে আবাদ হচ্ছে ওইসব ফসল। এলাকার আতাউর রহমান বুলাল শাহ প্রায় এক একর জমিতে পেঁপে বাগান গড়ে তুলেছেন। সেই সঙ্গে সাথি ফসল চাষ করছেন মরিচ ও বেগুন। একই সঙ্গে তিন ফসলের পরিচর্যাও করা হচ্ছে। পানি, সার ও নিড়ানি দেয়া হচ্ছে তিনটি ফসলেই। তিনটি ফসল এক সঙ্গে আবাদ করতে গিয়ে বাড়তি ব্যয়ও নেই। চাষি বুলাল শাহ’র মতে কৃষি বিভাগের পরামর্শেই সাথি ফসলের চাষ করা হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভাবে পেঁপে চাষ শুরু করা হয়েছে। সাথে থাকছে সাথি ফসল।

তার মতে পেঁপে অত্যন্ত উপকারি। তবে পেঁপে কাঁচা ও পাকা দুইভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা পেঁপের তরকারি যেমন সুস্বাদু, তেমনি পাকা পেঁপেও অনেক উপকারি। বেগুনও তরকারি হিসেবে অনেক ভালো। আর তরকারির প্রধান অনুসঙ্গ মরিচ। তাই এক সঙ্গে তিনটি ফসল একই জমিতে আবাদ করা হচ্ছে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিনটি ফসলই সমান তালে বেড়ে ওঠার চেষ্টা করছে। ফলনও ধরেছে গাছগুলোতে। মরিচ, বেগুন ও পেঁপে গাছে থোকা থোকা ফুল ধরেছে। হয়তো বা ফলনও মিলবে বেশ। কৃষি দপ্তরের নীলফামারীর উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, দেশে প্রতি বছর মানুষ বাড়ছে, খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে, সেই তুলনায় জমি বাড়ছে না। ফলে প্রতি বছর আবাদি জমি কমছে। কতিপয় মানুষ কাচা টাকার জোরে রাস্তার পাশে আবাদি জমিতে বাড়িঘর করছে। শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে।

 

ইটভাটা খেয়ে ফেলছে আবাদি জমি। ফলে ফসল ফলছে কম। কিন্তু মানুষের খাদ্যের চাহিদা তো আর কমছে না। সে কারণে কৃষি বিভাগ চেষ্টা করছে দীর্ঘদিন ধরে কম জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন। একই সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে অন্য ফসল চাষ করা যায় কি না তারও প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আগামী দিনে খাদ্যের সংকট মোকাবেলা করতে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি আবিষ্কারের বিকল্প নেই। এক কথায় অল্প জমিতে বেশি ফসল উৎপাদন করতে হবে এই লক্ষ্য নিয়েই কৃষি সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে যাচ্ছেন।

 

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by