বরিশাল

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রহর গুনছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলেরা

  প্রতিনিধি ৯ জুন ২০২২ , ৭:২৫:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি । এই বিএফডিসি মৎস্য ঘাট দেশে সামুদ্রিক মাছের সব থেকে বড় পাইকারি বাজার। এখন থেকে মাছ সড়ক পথে দেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ফেরিঘাটের যানজটের কারনে যথাযথ সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনা। ফেলে অধিকাংশ মাছ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে মাছের দাম কমে যায়। লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মৎস্য ব্যবসায়িরা প্রাণ পাবে সমাধান হবে সব সমস্যার এমনটাই প্রত্যাশা মৎস্য ব্যবসায়ীদের। পদ্মা সেতু চালু হলে বাড়বে মাছের দাম পরিবর্তন আসবে মৎস্য ব্যবসায়। পদ্মা সেতুর সুফল ভোগী হবে আড়তদার, পাইকার থেকে শুরু করে প্রান্তিক পর্যায়ের জেলে রাও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন সকল ধরনের সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়েছে। যার প্রায় অর্ধেকই ছিল রূপালী ইলিশ। বিএফডিসিতে বিক্রি হওয়া মাছের উপর শতকরা ১.২৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় করে সরকার। পদ্মা সেতু চালু হলেই সরাসরি রাজধানী সহ দেশের সকল স্থানের ব্যবসায়ীদের কাছে মাছ পৌঁছে যাবে। এমনকি বিদেশেও রফতানি বাড়বে। এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ বিক্রি করবে। জমজমাট হয়ে উঠবে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। এতে সরকারের রাজস্ব আরো বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

পাথরঘাটা মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জোমাদ্দার ভোরের দর্পনকে জানান, সুদিন ফিরবে বলে প্রহর গুনছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কবে উদ্বোধন হবে পদ্মা সেতু আশায় বসে আছে জেলেরা। জমজমাট হয়ে উঠবে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। পাথরঘাটা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ বিক্রি করতে আসবে এখানে। সেতু উদ্বোধন হলে আমুল পরিবর্তন আসবে মৎস্য ব্যবসায়। সমুদ্র থেকে সরাসরি মাছ শিকার করে দিনের আলোতেই রাজধানী বাসীদের সমুদ্রের তাজা মাছ খাওয়াতে পারবেন প্রান্তিক জেলেরা।

বিএফডিসি মৎস্য ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আকন ভোরের দর্পনকে জানান, ফেরী ঘাটে যানজটের দীর্ঘ ভোগান্তিতে অবসান হবে পদ্মা সেতু চালু হলেই। পাথরঘাটা বিএফডিসি থেকে মাছ বোঝাই করে ট্রাক ছাড়বে আর সরাসরি ঢাকাসহ দেশ বিভিন্ন পাইকারি আড়তে গিয়ে থামবে। রাজধানী বাসীকে আর বরফ দেয়া মাছ খেতে হবে না। সমুদ্র থেকে শিকার করে আনা তাজা রুপালী ইলিশ সহ সকল ধরনের মাছে খেতে পারবে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ভোরের দর্পনকে জানান, ফেরিঘাটে যানজটের কারনে সাগরে মাছ শিকার অধিকাংশ ট্রলার এখানে মাছ বিক্রি করতো না। ফলে পাথরঘাটা বিএফডিসিতে অনেক কম মাছ বিক্রি হতো। পদ্মা সেতু চালু হলে অধিকাংশ জেলেরা এখানে আবার মাছ বিক্রি করতে আসবে।

পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্তাপক লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভোরের দর্পনকে জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে দূরদূরান্ত থেকে এখানে মাছ বিক্রি করতে আসবে অনেক ট্রলার ফলে বাড়বে মাছ বিক্রি। এ অবতরণ কেন্দ্রের আগের তুলনায় রাজস্ব আদায় আরো বাড়বে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by