আইন-আদালত

জামিন আবেদন নামঞ্জুর, পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

  প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২১ , ৫:৩৮:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

চিত্রনায়িকা পরীমণি ও তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার নতুন করে রিমান্ড আবেদন না করায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আজ দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে নতুন করে কোনো রিমান্ডের আবেদন করেননি তদন্ত কর্মকর্তা। দুই আসামির পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পরীমণি ও তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপুকে হাজির করে সিআইডি। তাঁদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। রিমান্ডের আবেদন না থাকায় শুনানির সময় তাঁদের এজলাসের কাঠগড়ায় তোলা হয়নি।

বিকালে মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডলের আদালতে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত দুই আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দিপুকে দুই দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সহায়ক হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরীমণি ও দিপুকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। কারণ তাঁরা জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

গত মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাঁদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার পর সিআইডি হেফাজতে নেন। ওইদিন রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চারদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে আবারো ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।

এর আগে গত ৫ আগস্ট এই মামলায় তাদের চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে তাঁকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সঙ্গে আশরাফুল ইসলাম দিপুকেও আটক করা হয়। তাঁর বাসা থেকে বিদেশি মদসহ অন্যান্য দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এজাহার অনুযায়ী তার বাসা থেকে ১৯ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৪ গ্রাম আইস মাদক ও একটি এলএসডি ব্লট উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া একটি বং পাইপও উদ্ধার করে র‍্যাব।

এ ঘটনায় বনানী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by