Uncategorized

পাংশায় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২২ , ৭:৩৪:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

রতন মাহমুদ (পাংশা, রাজবাড়ী প্রতিনিধি): রাজবাড়ীর পাংশায় ওয়ালটন শোরুম ও বিকাশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ব্যবসায়ী মোঃ মনিরুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম।

বুধবার (১৮ মে) উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বণিক সমিতির সভাপতি ও ব্যবসায়ীরা মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে ব্যবসায়ী মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি মেঘনা বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আমার মেঘনা বাজারে দুইটি বাহাদুপুর বাজারে একটি এবং কুষ্টিয়া বড় স্টেশন রোডে মা ইলেকট্রনিক্স নামের শোরুম আছে। প্রতিদিন বিকেলে আমি মেঘনা বাজারে শোরুমে বসি। আমি সপ্তাহে প্রতি শনিবার কুষ্টিয়া শোরুমে যাই ও পুরো সপ্তাহে যে পরিমাণ বিক্রয় হয় সে সমস্ত টাকা নিয়ে আসি এবং বাহাদুরপুর বাজার এর শোরুম থেকে প্রতিদিন আমার ম্যানেজার সারাদিনের বিকৃত টাকা রাতে এসে আমার কাছে জমা দেয় ।

১৪ মে (শনিবার) আনুমানিক রাত ১০:১৫ দিকে আমি শোরুম বন্ধ করে আমার চাচাতো ভাই বিকাশ ও কসমেটিকস ব্যবসায়ী মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। আমার কাছে সবমিলিয়ে নগদ তিন লক্ষ টাকা ছিল এবং আমার ভাইয়ের কাছে নগদ দুই লক্ষ টাকা ছিলো।

বাড়িতে যাবার সময় মেঘনা বাজারের পার্শ্ববর্তী ব্রিজ পার হতেই প্রায় ২০ জনের একটি দল হাতে দেশীয় অস্ত্র রাম দা, হাসিয়া ও হকিস্টিক নিয়ে আমাদের পথ গতিরোধ করে বলে দাড়া এক পা নড়বি না। আমরা প্রাণনাশের ভয়ে দাঁড়িয়ে যাই। তখন তারা আমাকে হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে বলে শালা তোদের কাছে যা যা আছে বের কর। আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আমাদের কাছে থাকা নগদ অর্থ মোট ৫লক্ষ টাকা কেড়ে নিয়ে নেয়। পরে তারা আমাদেরকে পূণরায় আঘাত করার চেষ্টা করিলে আমরা গাড়ির উপর থাকায় গাড়ি টেনে পালিয়ে যাই এবং দুর্বৃত্তরা আমাদেরকে ধাওয়া করতে করতে অনেক দূরে আসে কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা ওখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হই।

আমি দুর্বৃত্তদের মধ্যে থাকা সাতজনকে চিনতে পাড়ায় আমার বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলামের কাছে ঘটনাটি সাথে সাথে জানাই। বণিক সমিতির সভাপতি আমাকে আশ্বস্ত করেন বলেন বিষয়টি আমি দেখবো। সভাপতি তাদেরকে বসতে বলায় তারা বসতে চেয়েও বসেনা এবং এভাবেই তিন দিন পার হয়ে যায়।

পরে আমি পাংশা মডেল থানায় এ বিষয়ে ১৭-০৫-২০২২ইং তারিখে ৭ জনের নাম উল্লেখ করেএকটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

আমি যাদের চিনতে পেরেছি তারা হলেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল মান্নান প্রামাণিকের ছেলে মোঃ বাপ্পি প্রামানিক, মৃত মোশাররফ হোসেন (খোকন)’র ছেলে মিঠুন প্রামাণিক, রিপন খন্দকারের ছেলে সাগর খন্দকার, মোঃ মাহাতাব সরদারের ছেলে সোহাগ সরদার, আব্দুল ওহাব’র ছেলে মোঃ আল-আমিন, মোঃ মঞ্জুর ছেলে নাঈম হোসেন এবং মোঃ আমজাদের ছেলে মেহেদী ফকির।

পরিশেষে তিনি বলেন, প্রতিদিন ব্যবসা করে রাতে বাসায় ফিরতে হয় এইসব কিশোর গ্যাং দের হাত থেকে বাঁচতে ও ছিনিয়ে নেওয়ার টাকা ফেরত পেতে সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সাহায্য সহযোগিতা চাই।

এ সময় বণিক সমিতির সভাপতি বলেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের পরিবারকে জানানোর পর তারা বসতে চাইলেও আর বসেনি। তখন আমি মনিরুল ইসলাম কে আইনের আশ্রয় নিতে বলি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by