পাকিস্তানে ভোজ্য তেলের লিটার ৬০৫ রুপি

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

পাকিস্তানে নজিরবিহীনভাবে ভোজ্য তেলের দাম বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। ফলে এক লিটার ভোজ্য তেলের মূল্য এখন দাঁড়িয়েছে ৬০৫ রুপি। যা আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। তবে সরকার নির্ধারিত এই দামের কোনো উপস্থিতি পাকিস্তানের খুচরা বাজারে নেই।

সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, ঘি ও রান্নার তেলের দাম মঙ্গলবার (৩০ মে) অভূতপূর্বভাবে বাড়ায় পাকিস্তান সরকার। এদিন দেশটির সরকার নজিরবিহীনভাবে রান্নার তেলের দাম প্রতি লিটারে বাড়ায় ২১৩ রুপি। সেই সাথে প্রতি কেজি ঘি`র দাম বাড়ানো হয় ২০৮ রুপি।

এর ফলে ভোক্তাপর্যায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। মূল্যবৃদ্ধির পর প্রতি লিটারে রান্নার তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০৫ রুপি এবং ঘি ৫৫৫ রুপিতে।

পাকিস্তানের করাচির ইউটিলিটি স্টোর কর্পোরেশনের (ইউএসসি) একজন কর্মকর্তা ডনকে বলেছেন, ‘ঘি এবং রান্নার তেলের এই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ইউএসসি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যা বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে।’

ডন বলছে, পাকিস্তানের খুচরা বাজারে বিখ্যাত ব্র্যান্ডের ঘি ও রান্নার তেলের সর্বোচ্চ হার এখনও প্রতি লিটার ৫৪০-৫৬০ রুপির মধ্যে রয়েছে। তবে হঠাৎ করে রান্নার তেল ও ঘি`র এতোটা মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তা।

তবে পাকিস্তান বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিভিএমএ) সেক্রেটারি-জেনারেল উমের ইসলাম খান ইঙ্গিত দিয়েছেন, ঘি ও রান্নার তেলের খুচরা দাম শিগগিরই ইউএসসির নির্ধারিত দামের সমান হবে। ঘি/রান্নার তেল প্রস্তুতকারীরা ইউএসসিকে ক্রেডিট করে পণ্য দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে কারণ কর্পোরেশন উৎপাদনকারীদের কাছে বকেয়া থাকা ২০০ থেকে ৩০০ কোটি রুপি এখনও পরিশোধ করেনি।

তিনি বলেছেন, পাম তেলের সরবরাহ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর টাস্কফোর্স কমিটির কর্মকর্তা এবং পিভিএমএর কর্মকর্তারা পাম তেলের চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে প্রতিদিন জুম মিটিং করছেন। করাচি বন্দরে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টন পাম তেলের মজুদ রয়েছে যা তিন সপ্তাহ ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট। সূত্র: দ্য ডন