প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২২ , ৪:৪৫:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটায় একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে ঘরে থাকা ১০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লেমুয়া গ্রামের বড়বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় মজুমদার।
আহতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত আব্দুল মালেক এর ছেলে শাহিন আজাদ (৪২), তার মা শাহেদা বেগম (৬৭), তার স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩৩) এবং ছেলে প্রিন্স হোসন (১৬)। এর মধ্যে শাহিন আজাদ ও শাহিদা বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে শেবাচিম হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আহত পারভীন আক্তার ভোরের দর্পনকে জানান, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে তারা সবাই গুমিয়ে পরি। রাত দেড়টার দিকে ৫ থেকে ৬ জন অজ্ঞাত ব্যাক্তি ঘরের মধ্যে ডুকে অতর্কিত মারধর শুরু করেন। আমরা ডাকচিৎকার দিলে তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রামদা, লোহার রড ও সাবল দিয়ে আমার স্বামী শাহিন আজাদ, ছেলে প্রিন্স ও শাশুড়ি শাহেদা বেগমের মাথায় আঘাত করে। এবং ঘরে রাখা ৩০ লাখ টাকা আছে তা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এর মধ্যে ট্যাংক ভেঙ্গে তার মধ্যে থেকে স্বর্ণের রুলি, চুড়ি, কানের দুল চেইন, নুপুর সহ প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ঘর তোলার জন্য রাখা নগদ দেড় লাখ টাকাও ৪টি মুঠো ফোন নিয়ে যায়। এসময় ডাকচিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও রামদা দিয়ে ধাওয়া দিয়ে পালিয়ে যায়।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার খালিদ মাহমুদ আরিফ ভোরের দর্পনকে জানান, আহতদের মধ্যে পারভীন ও তার ছেলে প্রিন্স শঙ্কা মুক্ত। তবে শাহিন ও তার মায়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে প্রেরন করা হয়েছে।
পাথরঘাটা থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সঞ্জয় কুমার ভোরের দর্পনকে জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ গিয়ে আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।