রাজধানী

পুড়ে যাওয়া লাশ দ্রুত দাফন না হলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষণ ঘটাবে’

  প্রতিনিধি ১০ জুলাই ২০২১ , ৬:০৬:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ইতোমধ্যে ১৫টি মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। কয়েকটি মরদেহ রাখা হচ্ছে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে। মরদেহগুলো আপাতত মর্গে রাখা হলেও দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা না করা হলে পচে-গলে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষণ ঘটাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাকসুদ।

লাশগুলো দেখে চেনার কোনো উপায় নেই তাই রানা প্লাজাসহ অন্যান্য দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ যেভাবে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল তাদের লাশও দ্রুত দাফন করে ফেলা দরকার।

শনিবার (১০ জুলাই) তিনি সাংবাদিকদের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত দাফনের ব্যভস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার রাতে তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ৪৮টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। দু-একটি ছাড়া বাকি মরদেহগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। দেখে চেনার কোনো উপায় নেই। তারা ডিএনএর মাধ্যমে নিহতদের পরিচয় খুঁজে বের করতে নমুনা হিসেবে বুকের পাঁজর সংরক্ষণ করেছেন।

এ ব্যাপারে তারা পুলিশের কাছে প্রস্তাবনা ও পরামর্শ দেবেন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লাশগুলো কখন দাফন করা হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ঘটনার প্রথম দিন তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অর্ধশত শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ১৮টি ইউনিট ২০ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর গত ৯ জুলাই সকালে ওই ভবনের চারতলা থেকে ২৬ নারীসহ ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ জনে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by