দেশজুড়ে

ফরিদপুর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন

  প্রতিনিধি ৮ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:০৯:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ফরিদপুর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন

ফরিদপুর- চারটি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। রাতে ফল প্রকাশ করা হয়।

রোববার ৭ জানুয়ারী সকাল ৮ ঘটিকা থেকে শুরু করে বিকেল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে। ফরিদপুর-৪টি আসনে বেসরকারি ভাবে জয়ী সংসদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসনক ও রিটার্নিং অফিসার কামরুল আহসান তালুকদার।

ফরিদপুর- ১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৩১ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুর রহমান দোলন ঈগল প্রতীক নিয়ে ৮৪ হাজার ৯৮৯ ভোট পান। সর্বমোট নৌকা প্রতীক ৩৮ হাজার ৩৪২ ভোটে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন আব্দুর রহমান।

ফরিদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শাহদাব আকবর নৌকা প্রতীক নিয়ে ৮৭ হাজার ১৯৪ ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. জামাল হোসেন মিয়া ঈগল প্রতীক নিয়ে ৮৫ হাজার ২৩২ ভোট পান। সর্বমোট নৌকা প্রতীক ১ হাজার ৮৭১ ভোটে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন শাহদাব আকবর।

ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ ঈগল প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭৫ হাজার ৯৮ ভোট পান। সর্বমোট ঈগল প্রতীক ৫৯ হাজার ৯ ভোটে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন আব্দুল কাদের আজাদ।

ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী ঈগল প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬ ভোট পান। সর্বমোট ঈগল প্রতীক ২৩ হাজার ৯৬৯ ভোটে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন মজিবুর রহমান চৌধুরী। এবার দিয়ে তিনি পরাপর তিন বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিক করেন।

ফরিদপুর রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ফরিদপুরের চারটি আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৬৫৪টি। সকল নির্বাচনি এলাকায় ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এজন্য বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি জানান, চারটি আসনে ৩৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চারজন জজ দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া পুলিশ, আনসার, বিজিবির পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব টহলে সার্বক্ষণিক কাজ করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by