বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে : রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত

  প্রতিনিধি ৮ জুন ২০২৩ , ৮:৫১:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাশিয়ার কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তাই আগামী নির্বাচন নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। সম্প্রতি গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো: রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ এবং রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমা দেশসমূহ রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক রয়েছে এমন বিভিন্ন দেশ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত করছে।

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে রাশিয়ার সহায়তায় তৈরি পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যাবে কিংবা বাধাগ্রস্ত হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে চলতি বছরের অক্টোবরেই পূর্বনির্ধারিত শিডিউল মোতাবেক পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ শুরু করবে রাশিয়া। পাবনার কাছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২.৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করবে। ইতোমধ্যেই ২০২০-২০২১ সালে এই প্ল্যান্টের উভয় রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

মন্টিটস্কি বলেন, রাশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্রে সফলভাবে কূপ খনন করছে। সম্প্রতি ভোলা দ্বীপে ২০তম কূপ খননের কাজ শেষ হয়েছে। গ্যাজপ্রম বাংলাদেশে তার কার্যক্রমের পরিধি আরো বাড়াতে ইচ্ছুক। রাশিয়া বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ২০২২ সালে আমাদের সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম সরবরাহ করেছে, যা বাংলাদেশের আমদানির ৪২ শতাংশ। এছাড়া, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়াই বাংলাদেশের পটাশ সারের অন্যতম প্রধান রফতানিকারী দেশে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে রাশিয়ায় বাংলাদেশী পণ্য রফতানির উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এবং রাশিয়ান কোম্পানি ন্যাশনাল গ্রুপ এলএলসি’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় আলু এবং অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা যাবে।

তিনি বলেন, রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ, পাট, চামড়া এবং সামুদ্রিক খাবারের চাহিদা রয়েছে এবং এর যথেষ্ট সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন নুরুল আলম, মো: শহীদুল ইসলাম, বিপুল বড়ুয়া, কামাল উদ্দিন খোকন, হাজেরা শিউলী, নুরউদ্দিন আলমগীর এবং হামিদুল ইসলাম।

সূত্র : বাসস

আরও খবর

Sponsered content

Powered by