বাংলাদেশ

বিএনপি-জামায়াত থেকে নিজেদের রক্ষা করুন: শেখ হাসিনা

  প্রতিনিধি ২০ জুলাই ২০২৩ , ৩:১৫:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পন ডেস্ক :

দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত মানুষকে কিছু দিতে পারে না। তাদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করুন। আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেলপথে ট্রেন চলাচলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে সুযোগ দিয়েছিল বলেই দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি জনগণকে বলব, সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করুন। এরা সৃষ্টি নয়, ধ্বংস করতে পারে। লুটপাট করতে পারে, কিন্তু মানুষকে কিছু দিতে পারে না। এদের হাত থেকে দেশবাসী রক্ষা পাক, সেটাই আমরা চাই। আমরা তাদের রাজনীতিতে বাধা দিচ্ছি না। তবে রেল ও মানুষের কোনো ক্ষতি করলে, তারা কিন্তু ছাড়া পাবে না। সব জায়গায় আমাদের ক্যামেরা থাকবে। একেবারে বেছে-বেছে, ছেঁকে-ছেঁকে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’

নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে রেলখাতের সম্পদ ধ্বংস করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আসলে ওরা সন্ত্রাসী দল, ওরা এটা ছাড়া কিছুই বোঝে না। এদের কাজই হলো ধ্বংস করা। ২০১৪ সালে যখন নির্বাচন হয়, বিএনপি তখন জানত, তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এটা জেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনের পর বিএনপি সন্ত্রাসী তাণ্ডব শুরু করে। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। জনগণ তাদের আর দেখতে চায় না।

তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য এ সরকারকে আবার ক্ষমতা আনতে হবে। বিএনপি মানুষকে হত্যা ও লুটপাটের রাজনীতি করে। তারা সমাবেশ করছে, আমি বাধা দিচ্ছি না। যদি বিএনপি- জামায়াত আন্দোলনের নামে আবার বাস-ট্রেনে আগুন দেয়, তাহলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।’

বিএনপি বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে রেলখাতকে প্রায় বন্ধের পথে নিয়ে গিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে যত পরামর্শ দিক না কেন এই মাটি ও মানুষের ভালোমন্দ বুঝি। কে কোন পরামর্শ দিল, তা শুনে উন্নয়ন করে না আওয়ামী লীগ সরকার। আমাদের দেশের মানুষের মঙ্গল-অমঙ্গল বুঝে বা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছি আমরা।’

আওয়ামী লীগ ২০১৪ এর নির্বাচনে সরকারে আসার পর রেলের ব্যাপক উন্নয়নে হাত দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের যতটুকু উন্নয়ন করে, বিএনপি ক্ষমতায় ফিরে সেগুলো নষ্ট করে। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য রেলখাতকে নিয়ে বেশ কয়েকটি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। পদ্মা সেতু থেকে একেবারে বরিশাল, ঝালকাঠি বরগুনা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করব। সেখানে খাল-বিল বেশি থাকায় মাটি নরম হওয়ায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। তবে এখন আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছি আমরা। নতুন এসব লাইন ডুয়েল গেজ হবে।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় এ দেশে প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ দারিদ্র ছিল। স্বাধীন দেশকে জাতির পিতা প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত একটি দেশ অনেক কষ্ট করে পুনর্গঠন করছেন তিনি। অথচ একটি চক্র ও যারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না তারা জাতির পিতাকে হত্যা করে।

এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ রেললাইন উদ্বোধন করেন তিনি।

এর মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নিরবচ্ছিন্নভাবে নতুন যুগের সূচনা হলো। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আর কোনো ট্রেনকে ক্রসিংয়ে পড়তে হবে না। কমে আসবে ট্রেনযাত্রার সময়ও। আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ৩২১ কিলোমিটার ডাবল লাইনে উন্নীত হলো।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by