দেশজুড়ে

বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ধর্মের একটা বড় সম্পর্ক আছে : ড. সৌমিত্র শেখর

  প্রতিনিধি ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৭:৫৮:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ধর্মের একটা বড় সম্পর্ক আছে : ড. সৌমিত্র শেখর

অতীত থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ধর্মের একটা বড় সম্পর্ক ছিল মন্তব্য করে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, প্রতিটা বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামের সঙ্গে ধর্মীয় প্রতীক ছিল। অক্সফোর্ডের সঙ্গেও কিন্তু ধর্মের সম্পর্ক ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার সাথে সেখানে ধর্মতত্ত্ব, সাহিত্যতত্ত্ব, প্রকৃতিতত্ত্ব সব শেখানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধর্মের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে ঠিকই, কিন্তু ধর্মের মধ্যে বিশ্বাসটা যেহেতু মুখ্য তাই পরবর্তীতে এই বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ল্যাব কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নব যোগদানকৃত শিক্ষকদের জন্য আয়োজিত একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) কর্মশালাটি আয়োজন করে। নবনিযুক্ত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, তোমাদের প্রথম কাজ হবে লেখাপড়া করা। জার্নাল বের করা। এইসব জায়গায় যদি কোনো কমতি থাকে তাহলে আমরা প্রশাসনিক কাজগুলোতে কাউকে যুক্ত করতে পারবো না। তখন কিন্তু কোনো অনুরোধ কাজে দেবে না। তাই এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি তোমাদের নিতে হবে।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানের প্রশ্নে আপোস করার সুযোগ নেই বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেছেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হওয়ার দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এজন্য স্মার্ট শিক্ষক, স্মার্ট কর্মকর্তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত করা হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষকদের মানের প্রশ্ন নিয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ লক্ষ্য নিয়েই প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জ্ঞানকে প্রশ্ন করতে চায়। প্রশ্ন করা শেখায়। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হয়। তাই একজন শিক্ষক হিসেবে মূল দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন করার বোধটুকু জাগাতে হবে। শিক্ষক হিসেবে যে-কারো একটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জ আছে সেটি হলো এখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের প্রতিনিয়ত মূল্যায়ন করবেন। কোনো শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের কাছে একঘেয়েমি হয়ে যায় তাহলে বাইরে তার ভাবমূর্তির সংকট হতে পারে।

আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সম্পদ ব্যক্তি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুকুমার সাহা ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির অতিরিক্ত-পরিচালক প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by