প্রতিনিধি ৮ মে ২০২০ , ৪:৩৫:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
শামীম খান,মহেশপুর(ঝিনাইদহ) : একদিকে মহামারি করোনা ভাইরাস, অন্যদিকে প্রচন্ড শ্রমিক সঙ্কট, তার ওপর গতকাল রাতে দুই–আড়াই ঘণ্টা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে মহেশপুর উপজেলার কয়েকশ’ একর’বোরো ধান। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ধানের সাথে সাথে কৃষকের সারা বছরের স্বপ্ন।ভারী বৃষ্টিপাতে তলিয়ে যাওয়া মাঠের পাকা ধান নিয়ে কঠিন বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
বোরো ধান কেটে বাড়ি আনতে তিনগুণ পরিশ্রমের পরও সোনালী ফসল ঘরে তুলতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার শত শত কৃষককে। হঠাৎ করে বৃষ্টির কারণে কেটে রাখা ভিজে ধান ঘরে তোলা, ধান মাড়াই করে শুকাতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। চোখের সামনেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে রোদ বৃষ্টি মাথায় করে অনেক কষ্টে উৎপাদিত শত শত একর জমির ধান।
সরেজমিনে কথা হয় উপজেলার নেপা গ্রামের কৃষক মোসলেম হোসেন, মিজানুর রহমান, ভৈরবা গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই,পৌর এলাকার বগা গ্রামের কৃষক ইসানুর ইসলামের সাথে । তারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তারা সবাই ২ থেকে ৩ বিঘা করে জমির ধান কেটেছেন। কিন্তু গত রাতের বৃষ্টিতে সবই পানির নিচে। এখন ধান বাঁচানোর জন্য বিচালি রেখেই ধান তুলতে হচ্ছে। বিচালীর বাবদ বিঘাপ্রতি ৩/৪ হাজার টাকা লোকসান হবে বলেও জানান তারা।
এ অবস্থায় সঠিক সময়ে ধান শুকিয়ে ঘরে না তুলতে পারলে ওই ধান গবাদি পশুকে খাওয়ানো ছাড়া আর কোনো কাজে আসবে না বলে জানান অনেক কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, মহেশপুর উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১৭৪৮৫ হেক্টর জমিতে। তেমনি ভাবে ফলনও ভালো হয়েছে। তবে মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ফলন ভালো হলেও বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ায় অনেক জমির ফসলই তলিয়ে গেছে।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাছান আলী জানান, উপজেলায় প্রায় ৫০% ধান কাটা হয়েছে। প্রাকৃতিক সমস্যায় আমাদের কারোরই হাত নেই। বৃষ্টিতে যে সমস্ত বোরো ক্ষেত তলিয়ে গেছে সে সমস্ত ক্ষেতের আইল কেটে দ্রুত পানি বের করে দিতে হবে। এবং যতদ্রত সম্ভব বিচালি রেখেই ধান তুলতে হবে।