আন্তর্জাতিক

ভারতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল পাকিস্তান

  প্রতিনিধি ১৬ মার্চ ২০২২ , ৭:১৮:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

ভুলবশত ভারতের উৎক্ষেপিত একটি ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানে গিয়ে আছড়ে পড়ার পর প্রতিশোধ হিসেবে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল ইসলামাবাদ। বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানে আঘাত হানার পরপরই প্রতিশোধ হিসেবে একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল ইসলামাবাদ।

গত ৯ মার্চ ভারতের সামরিক বাহিনীর অসাবধানতায় ওই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানে আঘাত হেনেছে বলে পরদিন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দেশটির সংসদে জানিয়েছিলেন। যদিও পাকিস্তান ভারতের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ বলছে, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে কিছু ভুলের ইঙ্গিত পাওয়ার পর পাকিস্তান পিছিয়ে যায়।

মার্কিন এই সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাবের আম্বালা থেকে মাঝারি পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রাহ্মোস নিক্ষেপ করেছিল। পাকিস্তানে এই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কিছু আবাসিক সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হলেও এতে কোনো হতাহত ঘটেনি।

তবে এই ঘটনা পাকিস্তানকে জানানোর জন্য উভয় পক্ষের শীর্ষ সেনা কমান্ডারদের মধ্যে সরাসরি হটলাইনের ব্যবহার করেনি ভারত, জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। এর পরিবর্তে, ভারতের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা আর কোনো ক্ষেপণাস্ত্র যেন ছুটে না যায় তা নিশ্চিত করতে যান।

ভারতীয় বিমান বাহিনী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। পাকিস্তান বিমান বাহিনী বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি হরিয়ানার সিরসা থেকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়া চান্নু শহরে অবতরণ করে। ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণ থেকে শুরু করে মিয়া চান্নুতে অবতরণের পথ ট্র্যাক করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার।

ভারতের সরকার বলেছে, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাবশত ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুটে যায়। পরে পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, সরকার ওই ঘটনার পর ক্ষেপণাস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিদর্শনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি পর্যালোচনা করছে।

তিনি বলেন, ‌ভারত তার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সুরক্ষা এবং নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। তদন্তে কোনো ধরনের ফাঁকফোকর পাওয়া গেলে তা সমাধান করা হবে।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, যদি ক্ষেপণাস্ত্রটি দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়ার সাথে মিলে না যেত, তাহলে
এর পরিণতি ‌‘অত্যন্ত গুরুতর’ হতো। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের এই ঘটনা দুর্ঘটনা ছাড়া অন্য কিছু ছিল এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘আমাদের কাছে কোনো ইঙ্গিত নেই, কারণ আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের কাছ থেকে শুনেছেন যে এটি দুর্ঘটনা ছাড়া অন্য কিছু নয়।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by