আন্তর্জাতিক

ভারত বাংলাদেশের প্রতি গভীর আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল: পীযূষ গোয়েল

  প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২৩ , ৭:৪৬:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভারত বাংলাদেশের প্রতি গভীর আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল: পীযূষ গোয়েল

বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রাখতে ভারত সরকার সবসময় বাংলাদেশের প্রতি গভীর আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে সংসদ ভবনে বিজেপির আমন্ত্রণে সফররত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি জানান, ভারত থেকে যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বাংলাদেশে রপ্তানিতে যে বাধা ছিল, দুই দেশের বাণিজ্য উন্নয়নের স্বার্থে তা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে ভারত সরকার সক্রিয় বিবেচনা করছে। যাতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই সংকটে না পড়ে। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও ভারতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী যাতে আরও বেশি রপ্তানি করতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেবে ভারত সরকার।

ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ বৈঠকে রাজনৈতিক ইস্যুসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অটুট থাকুক এটাই আমরা চাই। আমরা বাংলাদেশের প্রতি সবসময় সহানুভূতিশীল। বর্তমান সরকারের আমলে যখনই বাংলাদেশের কোনো ইস্যু আলোচনায় এসেছে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই তা দেখছি।

এ সময় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও অটুট রাখতে একযোগে কাজ করে যাওয়ার ব্যাপারে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ভারতে সফররত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত ও মেরিনা হাসান।

আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলটি আজ ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও জি-২০ সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়ক হর্ষ বর্ধন শ্রীংলার সঙ্গেও বৈঠক করে। এ বৈঠকে ড. শ্রীংলা বলেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য হলো প্রতিবেশীকে প্রাধান্য দেওয়া। তার মধ্যে বাংলাদেশ হচ্ছে সবার আগে।

তিনি বলেন, ভারত চায় না বাংলাদেশে কখনো প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উত্থান হোক। বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে তা অন্য সরকারের আমলে দেখা যায়নি। আমরা বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই বলেই জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখতে আমরা কাজ করছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by