চট্টগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডব, গ্রেফতার ৫০৩

  প্রতিনিধি ২৭ মে ২০২১ , ১০:২০:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

গত দুই মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচি চলাকালে শহরজুরে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ তাণ্ডব চালায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫শ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবশেষ গত ২৬ মে রাতে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই হেফাজতের নেতা, কর্মী-সমর্থক। এদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী ও সমর্থক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়। এ সব মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়। বুধবার রাত পর্যন্ত ৫০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনার সময়ের প্রাপ্ত স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। যা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, মাতৃ সদন, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরালসহ তিনটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, পৌর মেয়রের বাসভবন, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, হিন্দু সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় কালিমন্দির, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধ্বংসাত্মক নগরী হিসেবে পরিণত হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by