রংপুর

ভূরুঙ্গামারীতে নায্য দাম না পাওয়ায় চামড়া মাটি চাপা দিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা

  প্রতিনিধি ২৩ জুলাই ২০২১ , ৬:৫৮:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা সহ মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। পাইকারি বাজার ও চামড়ার আড়তে দাম না থাকায় হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। চামড়ার দাম না থাকায় স্থানীয় মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোর আয় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এতে সংশ্লিষ্টদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা গ্রাম থেকে একটি বড় গরুর চামড়া আড়াই শ থেকে সাড়ে ৩ শ টাকায় এবং ছাগলের চামড়া ১৫ থেকে ২০ টাকায় ক্রয় করেছেন। কিন্তু সেই চামড়া আড়ত ও পাইকারি বাজারে আনার পর গরুর চামড়ার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আর ছাগলের চামড়ার দাম ১০ টাকায় এসে ঠেকেছে।

বৃহস্পতিবার ২২ জুলাই ভূরুঙ্গামারী বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, চাহিদা না থাকায় নানান অজুহাতে দাম কম বলছেন পাইকাররা।

আব্দুস ছাত্তার নামের একব্যক্তি জানান, কোরবানির গরুর চামড়া ৩ শ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। ওই চামড়ার দাম কমপক্ষে দেড় হাজার টাকা হওয়া উচিৎ। মুন নামের অপর কোরবানি দাতা জানান, এক লাখ টাকার গরুর চামড়ার দাম ৩ শ টাকাও বলছে না চামড়া ক্রেতারা।

মনির নামের অপর এক কোরবানি দাতা জানান, একশ কেজি ওজনের গরুর চামড়া অনেক জোড়াজুড়ির পর দেড়শো টাকায় বিক্রি করতে পারেন নাই।

পশ্চিম চাট গোপালপুর সিদ্দিকীয়া হাফেজিযা মাদ্রাসার সভাপতি মোকলেছুর রহমান জানান, বারোটি গরুর চামড়া ১ হাজার ৬৭০ টাকা বিক্রি করেছি। ছাগলের ৩টি চামড়া ও ১টি ভেড়ার চামড়া বিক্রি না হওয়ায় মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে।

মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী আক্কাস আলী জানান, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে চামড়া কিনেছি। চামড়া কেনার পর লেবার, লবণ, পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আরো ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। পাইকাররা কেনা দামের অর্ধেক দামও বলছেন না।

আবুল কালাম জানান, প্রায় দু’শ ছাগলের চামড়া ফেলে দিয়েছি। তিনি আরো জানান, ভূরুঙ্গামারীতে চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি নাই। এছাড়া করোনার প্রভাব ও ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে গত বছরের বকেয়া টাকা না পাওয়ায় অনেক চামড়া ব্যবসায়ী এবার তেমন একটা চামড়া কিনছেন না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by