বরিশাল

ভোলায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১২ ডিসেম্বর ২০২২ , ৭:৪৪:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নিয়াজ মাহমুদ জয়, ভোলা প্রতিনিধি:

ভোলায় ভুল চিকিৎসায় আছিয়া বিবি (৩৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শহরের ডায়াবেটিস হাসপাতালে প্রাইভেট ডাক্তারের ভুল অস্ত্রোপচারের কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

নিহত আছিয়া জেলার সদর উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের আব্দুল রহমানের স্ত্রী। আব্দুল রহমান পেশায় জেলে। চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীরা স্বজনরা। তবে, চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।

নিহত প্রসূতির পরিবার জানায়, রোববার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় প্রসূতি বিবি আছিয়া শহরের ডায়বেটিস হাসপাতালে গাইনী চিকিৎসক ডাঃ আফরোজা বেগমকে দেখাতে গেলে তিনি প্রসূতিকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন।

এসময় তাকে বিভিন্ন ক্লিনিকে পরীক্ষা করাতে বলেন। অস্ত্রোপচারের পর একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হলেও রাত থেকেই রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে সেই রোগীকে কোনো চিকিৎসা করেনি ডাক্তার বা হাসপাতালের কোন স্টাফ। সোমবার সকালে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।

রোগীর স্বামী আব্দুল রহমান বলেন, সিজারের পর আমাদের কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। তারা রোগীর চিকিৎসায় অবহেলা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আবদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালেই রোগীর মৃত্যু হলেও তারা তা আমাদেরকে বুজতে না দিয়ে বরিশালে রেফার করেছে।

রোগীর স্বজন জিন্নাহ বলেন, রোগীকে সরকারি হাসপাতালে সিজার করানোর অনুরোধ করলেও তারা ভোলা ডায়াবেটিস হাসপাতালে সিরাজ করায়। তারপর থেকে রোগীর খিঁচুনি শুরু হয়ে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে আইসিইউ লাগবে বলে বরিশালে রেফার করে।

 

ডায়াবেটিস হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন বলেন, সিজারের পর সোমবার সকালে রোগী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে জরুরী অক্সিজেন এবং আইসিইউতে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ ভোলাতে আইসিইউর সুবিধা নেই। আমাদের এখানে থাকা অবস্থায় রোগী সুস্থ ছিল। সিজারের পর কোন সমস্যা ছিল না।

অভিযোগ অস্বীকার করে গাইনি চিকিৎসক ডা. আফরোজা বেগম বলেন, অপারেশন সফলভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ভুল চিকিৎসা বা অবহেলায় তার মৃত্যু হয়নি। আমরা রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, রোগী কিছুটা বয়স্ক ছিল। এটা তার পঞ্চম সন্তান। বয়স্ক মানুষের হার্ট অ্যাটাকে ঝুঁকি থাকে। হয়তো সে কারনেই তার মৃত্যু হতে পারে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by