Uncategorized

ভোলায় মৎস্য অভিযানের নামে তালবাহানা: সাধারণ জেলেরা হয়রানি

  প্রতিনিধি ২৮ নভেম্বর ২০২২ , ৭:২৮:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিয়াজ মাহমুদ জয়, ভোলা প্রতিনিধি: 

জেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নৌকা ও জাল ছেড়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন মাছ শিকারের সুযোগ করে দিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা। এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে ভোলার দৌলতখান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইনের বিরুদ্ধে।
২৬ তারিখ (শনিবার) সকালে দুইটি কোষাণ জালসহ চেউয়া মাছ জব্দ করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। জব্দ কৃত নৌকা নিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ঘাটে চলে আসে। এদিকে মাছ নিয়ে বোরহানউদ্দিন সেন্টার খালে চলে আসে সাধারণ জেলে মানসুর। ঐ নৌকায় মৎস্য অফিসের বা প্রশাসনের কোনো স্টাফ-কর্মচারী ছিলো না। উল্লেখ্য প্রজনন মৌসুম হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। কিন্তু এই মানসুর, মনির ও আওলাদ দ্রুতগামী নৌকা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারে যায়। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় তাদেরকে আইনের আওতায়ও আনা হয়। জানা যায়, বর্তমানে মৎস্য অফিসের কোনো স্টাফ বা কর্মচারীকে না নিয়ে এদের নিয়ে অভিযান নামে হযবরল দেখায় এই মৎস্য কর্মকর্তা।

মৎস্য কর্মকর্তা টাকা ও মাছের বিনিময়ে নদীতে নৌকা পাঠায়, ইউসুফের এমন ভিডিও বক্তব্য ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি সাংবাদিককে বক্তব্য দেওয়ায় ইউসুফকে মামলা হামলার ভয় দেখায় মৎস্য কর্মকর্তা। এতে জেলে ও স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম না বলতে ইচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, মৎস্য কর্মকর্তার সাথে থাকা নৌকায় বিপুল পরিমাণ মাছ নিয়ে বোরহানউদ্দিন সেন্টার খাল নামক স্থানে চলে যায়। পরে সেখানে গিয়ে মানসুর মাঝি নামে ব্যক্তির নৌকায় মাছ দেখতে পাওয়া যায়। তিনি জানান, মৎস্য কর্মকর্তায় দুইটি নৌকা জব্দ করে। একটার জাল কেটে চলে আসে। তিনি আরো জানান, স্যারে কইছে ঘাটে নিয়ে টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করে দিতাম। সাথে থাকা অন্য একজন জানায়, আল্লাররস্তে দিয়ে দিবো।

ভুক্তভোগী ইউসুফ জানায়, ২২ দিনের অভিযানের সময় মৎস্য অফিসার আমার কাছ থেকে টাকা ও মাছ নিয়ে নৌকা নদীতে পাঠাইতো। কিছুদিন টাকা না দেওয়ায় মৎস্য কর্মকর্তা আমার নৌকাও ধরে নিয়ে যায়। খাওয়নের মাছ দেও, চেউয়া মাছ আমাগো বাসায় খাইতে মনে চায়! দৌলতখান মৎস্য কর্মকর্তা বলে নদীতে গেলে টাকা দিতে হবে, না গেলে টাকা দিতে হবে না। এমন অভিযোগ করে ইউসুফ।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন এবিষয় কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ক্ষিপ্ত হয় উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিবে বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিযান যায়। জাল ও নৌকা জব্দ করেছে তবে মাছের ব্যাপারে কিছু জানিনা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হক মোল্লা বলেন, অফিসার অভিযান পরিচালনা করে নৌকা ও জাল আটক করেছে শুনেছি। তবে মাছের ব্যাপারে কিছু জানি না। সাংবাদিকের এক প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, চেউয়া মাছ বৈধ কিন্তু জাল অবৈধ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by