প্রতিনিধি ১৮ আগস্ট ২০২০ , ৭:৫২:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নেত্রকোণা (কলমাকান্দা) প্রতিনিধি : গত কয়েকদিন আগে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে টানা তৃতীয় বারের সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের মধ্যনগর -মহেষখলা সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে পথচারীরা চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে এলজিইডি’র আওতায় মধ্যনগর-মহেষখলা রোডের ১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়। রাস্তাটি নির্মাণকালীন সময়ে হাওরের টেউয়ের কবল থেকে ভাঙ্গন ঠেকাতে বøকের পরিবর্তে বালির বস্তা দেওয়া হয়, যা সম্পূর্ন এক বছরের মধ্যে টেউয়ের আঘাতে ধসে পড়ে। রাস্তার মাঝখান দিয়ে ইটের ¯øুইং দেওয়া হয় যা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে অনুপযোগী। রাস্তাটির ১২ কিলোমিটারের প্রায় ৬০ শতাংশ জায়গা হাওরের টেউয়ের আঘাতে ও বন্যায় ধসে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তাটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে মোটর সাইকেলের মাধ্যমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতাযায়ত করে। মোটর সাইকেল ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন দিয়ে চলাচল করা যায়না। গত কয়েকদিন তিন বারের বন্যার কারনে রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। বন্যার কারনে রাস্তাটি পুরোপুরি ডোবে যায়। যার ফলে রাস্তাটি আরো ২ -৩ ফুট উচ্চতায় মাটি ভরাট করে পাকা করে চলাচলের উপযোগী করে তুললে আমাদের কষ্টের লাঘব হতো। সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, মধ্যনগর থেকে মহেষখলা পর্যন্ত আমাদের চলাচলের একটি মাত্রই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। আমাদের বহুদিনের প্রত্যাশিত মধ্যনগর-মহেষখলা রাস্তার উব্দাখালী ও সোমেশ্বরী নদীর উপর নির্মিতব্য দুটি ব্রীজ দ্রæততার সাথে যেহেতু কাজ শেষ হচ্ছে। তাই এই হাওর অধ্যুষিত এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তাটি পুরোপুরি নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসীর হাসান পলাশ জানান, পানি শুকানোর পর রাস্তাটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।