ময়মনসিংহ

মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম কারাগারে

  প্রতিনিধি ৮ এপ্রিল ২০২১ , ১০:১৫:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মঞ্জুরুল হক (২৫) নামে এক ইমামকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভিকটিমের বাবা গত বুধবার রাতে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করলে বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম মঞ্জুরুলকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে বিকেলেই ভিকটিম ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ও জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হক কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের দিগলী ফকির বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি একই উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই এলাকার এক মাদ্রাসা ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ইমাম মঞ্জুরুল। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বুধবার (০৭ এপ্রিল) ভোরে দিগলী গ্রামের একটি জঙ্গলে বাঁশঝাড়ের নিচে ধর্ষণ করে। থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে আটক করে।

এদিকে মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইমাম ওই মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি ভোরে স্থানীয় শিশুদের আরবি পড়াতেন। এরই সুবাদে ওই মাদরাসা ছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। বুধবার ভোরে ওই ছাত্রীকে বাড়ির পেছনে ডেকে নিয়ে বাঁশঝাড়ে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির বাবা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি দেখতে পান। পরে তার ডাক-চিৎকারে দৌড়ে পালিয়ে যায় মঞ্জুরুল।

সংবাদ পেয়ে ওই দিনই ইমাম মঞ্জুরুল হককে দিগলী গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার রাতে মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ইমামকে আসামি করে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঞ্জুরুল হককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by