রাজশাহী

মান্দায় ব্যতিক্রমী প্রতিমায় দুর্গাপূজার আয়োজন

  প্রতিনিধি ১৫ অক্টোবর ২০২০ , ৩:৫১:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

এবছর দেবী আসবেন দোলায়, যাবেন গজে। এই বিষয়টি লক্ষ্য রেখে শিল্পী ব্যতিক্রমী প্রতিমা তৈরি করেছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের শামুকখোল গ্রামের রেবতী রাধাকুঞ্জ সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে। ইতোমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন চলছে রং-তুলির কাজ। সম্পূর্ণ অরক্ষিত এই মন্ডপে গত ৬ বছর ধরে ব্যক্তি উদ্যোগে এ পূজার আয়োজন হয়ে আসছে। মন্ডপে মন্ডপে সচারচর যেসব প্রতিমা দিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন হয়ে থাকে তা থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম এই দুর্গামন্দিরের প্রতিমা।

মন্ডপটিতে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের সুভাষ চন্দ্র তরফদার। তিনি জানান, দুর্গাপূজায় সকল মন্ডপগুলোতে একই ধরণের প্রতিমা দিয়ে পূজার্চনার কাজ হয়ে থাকে। কিন্তু দর্শনার্থীরা ব্যতিক্রম কিছু দেখার আগ্রহ নিয়ে মন্ডপে মন্ডপে ছুটে বেড়ান। তাদের সেই চাহিদা পূরণ করতে আমার এই প্রচেষ্টা। দর্শনার্থীরা প্রতিমাগুলো দেখে যদি ভাল কিছু বলেন তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।

মন্দিরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিপ্লব কুমার প্রামানিক বলেন, পরিবারের অনুপ্রেরণায় গত ৬ বছর ধরে সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে এ পূজার্চনার কাজ করে আসছি। আমার মন্দিরটি সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। তিন দিকে টিনের বেড়া ও উপরে পলিথিন পেপার দিয়ে ছাউনি দেয়া হয়েছে। সামনের দিকে খোলা অবস্থায় পড়ে থাকে। প্রতিমা তৈরির যাবতীয় কাজ শেষ হবার পর পূজার্চনা শুরু না হওয়া পর্যন্ত রাত জেগে পাহারা দিতে হয়। এ সময় অনেকটা শঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন কাটে।

তিনি আরও বলেন, এ মন্দিরে সরকারি কোন অনুদান দেন। প্রতিবছর পূজা উপলক্ষে ৫শ কেজি চাল বরাদ্দ পাওয়া যায়। যা দিয়ে প্রতিমা তৈরির খরচই চলে না। এ অবস্থায় পুজা-অর্চনার কাজ অব্যাহত রাখতে মন্দিরটিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান তিনি। প্রসঙ্গত: নওগাঁর মান্দা উপজেলায় এবছর ১০৪টি মন্ডপে দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by