দেশজুড়ে

রংপুরে চিংড়ি চাষে সাফল্য

  প্রতিনিধি ৮ জুন ২০২১ , ৬:৪৮:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

রবিউল ইসলাম দুখু, রংপুর ব্যুরো:

সমুদ্রের গলদা চিংড়ি রংপুরের পুকুরে আবাদ হচ্ছে। নোনা পানির এ গলদা চিংড়ি মাছ চাষ পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। জেলার ৫ উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে নোনা পানির গলদা চিংড়ি মাছ চাষ শুরু হয়। উপজেলাগুলো হল- রংপুর সদর, পীরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়ায়। প্রথমে দু’চারজন আবাদ শুরু করলেও এখন এর সংখ্যা বাড়ছে। পুকুরের মিঠা পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ কওে যে কয়েকজন সফল হয়েছেন মিঠাপুকুরের মোস্তাফিজার রহমান অন্যতম। তিনি এক যুগ থেকে মৎস্য চাষের সথে জড়িত। দীর্ঘদিন থেকে তার কয়েকটি পুকুরে বিভিন্ন মাছ চাষ করে আসছেন। মৎস্য অফিসের সহায়তায় তিনি ২০১৯ সালে মিশ্রভাবে গলদা চিংড়ি চাষ করেন। ৭০০ পিচ চিংড়ী তিনি বিক্রি করেন ২৬ হাজার টাকায়।

মৎস্য অফিস জানায়, বগুড়ার ফাসিতলা থেকে প্রতিটি চিংড়ি পোনা ১০ টাকা দরে কিনে নিয়ে আসেন। ওই ৫টি উপজেলায় ৮০০টি করে চিংড়ি পোনা ও ২০ কেজি করে মিশ্র মাছের খাদ্য বিতরণ করা হয়। এর সাথে সমুদ্র থেকে নোনা পানি নিয়ে এসে তা মিঠা পানির সাথে মিশ্রণ করে দেয়া হয় পুকুরগুলোতে।

আরো জানা যায়, সমুদ্র থেকে আনা পানিতে রয়েছে নোনা ৩৫ শতাংশ। সেটাকে রি-সাইক্লিং করে তা ১২ শতাংশে নিয়ে এসে তা মিঠা পানির পুকুরে মিশ্রণ করে পরীক্ষামূলক গলদা চাষাবাদ করা হয়, তাতে চাষিরা সফল হয়েছেন। অধিকাংশ মাছের ওজন ছিল প্রায় ২০০ গ্রাম করে হয়। এখন চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে উৎসাহিত হওয়ায় মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়িতে গলদা চিংড়ির পোনা উৎপাদন করা হচ্ছে।

ফার্ম মৎস্যজীবী উৎপাদন খামার সঠিবাড়ি রংপুরের ব্যবস্থাপক মো: মোস্তফা কামাল জানান, এ খামারের যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সলে। এ খামারটি গড়ে তুলতে খুলনা থেকে মা গলদা নিয়ে আসা হয়েছিল। রংপুরের এ খামার থেকে দক্ষিণবঙ্গ (খুলনা) থেকে পিএল বা পোস্ট লার্ভা নিয়ে যায় বলেও জানান।

মিঠাপুকর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, মিঠাপুকুর উপজেলায় তিনজনকে বাছাই করা হয়। তারা হলেন- মির্জাাপুরের মো: সাহেব মিয়া, বড় হযরতপুরের মো: আবু ব্ক্কর সিদিক এবং বালাহাটের মো: বোলাল মিয়া। প্রতিজন চাষিকে ২০০০ পিএল বা পোস্ট লার্ভা দেওয়া হবে।
মির্জাপুরের মো: সাহেব আলী বলেন, মৎস্য অফিস থেকে যোগাযোগ করেছে। তারপর থেকে তিনি ৪০ শতকের পুকুর প্রস্তুত করেছেন। এপিল পাওয়ার পরেই পুকুরে ছাড়াবেন। তিনি আরো জানান, ইতিপূর্বে কয়েকজন গলদা চিংড়ি চাষ করে সফল হয়েছেন। তাই মৎস্য অফিসের সহায়তায় এবার গলদা চাষে নামছেন।

জেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বরুন কুমার বিশ্বাস বলেন, পরীক্ষামূলক গলদা চিংড়ি চাষে সফল হওয়ায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আস্তে আস্তে গোটা জেলায় ছড়িয়ে দেয়া হবে।
জেলার সহকারি পরিচালক কাজী আতিয়াহ তাইয়েবা বলেন, আগে গলদা চিংড়ির পিএল বা পোস্ট লার্ভা আনা হত বাইরের জেলা থেকে। এখন রংপুরের সাঠিবাড়ি খামার থেকে পিএল বা পোস্ট লার্ভা যাচ্ছে খুলনায়।

চিকিৎসকরা জানান, হৃৎপিন্ড ভাল রাখতে সাহায্য করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাদ্য।ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এটি লিভারের পক্ষেও ভাল কাজ করে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই পাওয়া যায় চিংড়িতে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by