দেশজুড়ে

রংপুরে স্কুল ফিডিং প্রকল্প জুনে শেষ হচ্ছে, চালুর দাবী সোয়ালাখ শিক্ষার্থীর অভিভাবককের

  প্রতিনিধি ২৯ জুন ২০২১ , ৬:৫৯:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

রংপুর ব্যুরো:

রংপুরে আগামী মাস থেকে টিফিন হিসাবে খেতে দেওয়া বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। এতে জেলার গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জের এই চার উপজেলার ৫৬১টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা পড়বে পুষ্টি সংকটে। চালুর দাবী জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

জানা গেছে, জেলার কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলা ৫৬১টি স্কুলের ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৪ জন শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে গঙ্গাচড়ার ১৮০টি স্কুলের ৩৭ হাজার ৫২৩ জন, কাউনিয়ার ১২৮টি স্কুলের ২৫ হাজার ১৭৭, বদরগঞ্জে ১৭৭টি স্কুলের ৩৪ হাজার ৩৪৯ এবং তারাগঞ্জের ৭৬টি স্কুলের ১৭ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। দেশে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমাতে ২০০১ সালে স্কুল ফিডিং প্রকল্প চালু হলেও জেলায় এই কার্যক্রম শুরু হয় এগারো বছর পর।

এই প্রকল্পের মেয়াদ জুনে শেষ হলে আগামী জুলাই থেকে শিশুদের মধ্যে আর বিস্কুট বিতরণ করা সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে বিতরণ কার্যক্রমে নিয়োজিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর (এনজিও) সাথে প্রকল্প চুক্তির মেয়াদও শেষ হবে।

গঙ্গাচড়া উপজেলার ইচলি বাগেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী জানান, তিস্তা বেষ্টিত এখানকার চরাঞ্চলের শিশুরা স্কুল ফিডিং সুবিধার আওতায় থাকার কারণে ঝড়ে পড়া কমে এসেছে। এখন শুনছি প্রকল্পের মেয়াদ জুনে শেষ হবে। এরপর আর বাচ্চাদের বিস্কুট দেওয়া হবে না।

কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল জানান, সরকার প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের ঝড়েপড়া রোধে যত প্রকল্প হাতে নিয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সফল ও কার্যকর প্রকল্প স্কুল ফিডিং। এই প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করেছে। অভিভাবকেরা তাদের বাচ্চাদের নিয়মিত স্কুলে আসতে দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারাগঞ্জের দায়িত্বে থাকা স্কুল ফিডিং প্রকল্পে কর্মরত একজন বলেন, সুবিধাভোগী বেশিরভাগ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থী তিস্তা-ঘাঘট, করতোয়া ও যমুনেশ্বরী নদী এলাকার। এদের অনেকে আবার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে বসবাস। ২০১২ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে। তবে রান্না করা খাবারের চেয়ে বিস্কুটই ভালো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এম শাহজাহান সিদ্দিক বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ জুনেই শেষ হবে। পরের মাস থেকে শিক্ষার্থীরা আর পুষ্টিসম্পন্ন বিস্কুট পাবেন না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by