দেশজুড়ে

রাজশাহীতে এবার রেকর্ড পরিমাণ পাট চাষ

  প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২১ , ৪:৪৮:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

রফিকুল হাসান ফিরোজ, রাজশাহী :

সোনালি আঁশের সুদিন ফিরে পেয়েছেন চাষিরা। সঠিক দামের পাশাপাশি বাজারে পাটের চাহিদাও বেড়েছে অনেক বেশি। আর সে লক্ষে এবার রাজশাহীর পুঠিয়ায় গত বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাটবীজ বপন করা হচ্ছে।

বিগত বছরগুলোতে পাটের দাম কম থাকায় স্থানীয় চাষিরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। আর গত দু’বছর থেকে পাটের চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় পাট চাষে ঝুঁকছেন অনেক চাষিরা। অনুক‚ল আবহাওয়া বিরাজ করলে এবার পাটের রেকর্ড পরিমাণ ফলন আশা করছেন তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ৬টি ইউপি এলাকায় প্রায় ৩ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে পাট বীজ বপন করা হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৬০ হেক্টর জমি বেশি। আর উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৩৭০ মে.টন। স্থানীয় কৃষকরা এবার ও-৯৮৯৭ (ফাল্গুনী তোসা), জিআরও ৫২৪ জাতের পাটবীজ বেশি বপন করেছে। তাছাড়া ভারত থেকে আমদানিকৃত চাকা মার্কা জাতের পাটবীজও অনেকই বপন করেছে।

উপজেলার তারাপুর এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, কৃষি উপকরণের পাশাপাশি দিনমজুরের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তার মধ্যে বীজ বপন থেকে পাট কেটে প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৮-১০ হাজার টাকার মত খরচ হয়।

গত কয়েক বছর যাবত বাজার মন্দা থাকায় পাট বপন করে এলাকার অনেক চাষিদের লোকসান গুণতে হয়েছে। তবে গত দু’বছর থেকে বাজারে পাটের চাহিদার পাশাপাশি দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে এবার অনেকেই পাট চাষে এগিয়ে আসছেন।

জিউপাড়া এলাকার পাটচাষি কাউসার আলী বলেন,আমাদের এলাকায় বর্তমানে অধিকাংশ জমিতে পাট বপন করা শেষ হয়েছে। দু’একজন চাষি আছেন যারা এখনো বপন করতে পারেননি। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বপন শেষ হবে বলে আশা করা যায়। তিনি বলেন, সময়মত সঠিক পরিচর্যা ও বিছা-মাকড়সা প্রতিরোধ করতে পারলে এবার বিগত বছরের তুলনায় পাটের ফলন অনেক বেড়ে যাবে।
আশরাফুল ইসলাম নামে একজন পাটব্যবসায়ী বলেন, গত বছরের শুরু থেকেই প্রতিমণ পাট দু’হাজার থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে বাজারে পাটের চাহিদার পাশাপাশি দামও বেড়েছে দ্বিগুণ। সর্বশেষ গত মাসে (মার্চ) পাট কিনা বেচা হয়েছে প্রতিমণ ৬ হাজার টাকা দরে। সে অনুপাতে এবারো পাটের বাজার ভালো যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুনাহার ভূইয়া বলেন, বিগত বছর গুলোতে বৈরি আবহাওয়ার কারণে এই অঞ্চল সময়মত বৃষ্টিপাত অনেক কম হয়েছিল। চাষিরাও ছিল বৃষ্টিপাত নির্ভর। আর বর্তমানে চাষিরা জমিতে সেচ ব্যবস্থায় চাষাবাদ করছেন।

তাছাড়া পাটের চাহিদার পাশাপাশি দামও অনেক ভালো। যার কারণে পাট চাষে অনেক কৃষক এগিয়ে এসেছেন। অনুক‚ল আবহাওয়া বিরাজ করলে এবং সঠিত পরিচর্যা করতে পারলে এবার পাটের বাম্পার ফলন হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by