বাংলাদেশ

র‍্যাব ও তার ছয় কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লংঘনের দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ

  প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর ২০২১ , ৪:৫৭:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

 

  •  অভিযোগ মানবাধিকার লঙ্ঘনের
  • যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে বাংলাদেশের আরও কিছু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর তাদের অভিযোগ রয়েছে
  • নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ
  • ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন্স এবং রিলেটেড প্রোগ্রাম অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন্স অ্যাক্টের ৭০৩১(সি) ধারার অধীনে বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে ভিসায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
  • বাংলাদেশ সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে র‌্যাব ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়
  • এসব ঘটনায় টার্গেট করা হয়েছে বিরোধী দলীয় সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর সাবেক-বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধে অংশ নিয়ে র‌্যাব আইনের শাসন ও মানবাধিকার খর্ব করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ এতে হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে তাদের একজনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওই মন্ত্রণালয় থেকে ১০ ডিসেম্বর দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অর্থবছর ২০২১ ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন্স এবং রিলেটেড প্রোগ্রাম অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন্স অ্যাক্টের ৭০৩১(সি) ধারার অধীনে বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে ভিসায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বাংলাদেশে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও বলা হয়। র‌্যাবের সাবেক ডিজির দায়িত্বে থাকার সময় সংঘটিত মানবাধিবার লঙ্ঘনের জন্য বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান মোট ৬ জন কর্মকর্তাকে নির্বাহী আদেশে ‘ফরেন এনটিটি’ বা বিদেশি হিসেবে অভিহিত করে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে র‌্যাব ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ আছে। এর মধ্য দিয়ে আইনের শাসন, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতাকে খর্ব করা হচ্ছে। খর্ব করা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে। আর তাতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ হুমকিতে রয়েছে।

ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ২০০৪ সালে বাংলাদেশে র‌্যাব গঠন করা হয়। পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং সীমান্তরক্ষীদের সমন্বয়ে এটি গঠিত হয়। এনজিওগুলো অভিযোগ করেছে যে, ২০০৯ সাল থেকে কমপক্ষে ৬০০ গুমের জন্য দায়ী র‌্যাব এবং বাংলাদেশের অন্যান্য আইন প্রয়োগকারীরা। ২০১৮ সাল থেকে প্রায় ৬০০ মানুষকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। কোনো কোনো রিপোর্টে বলা হয়েছে, এসব ঘটনায় টার্গেট করা হয়েছে বিরোধী দলীয় সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন, র‌্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিজি ও বর্তমান আইজিপি বেনজির আহমেদ, র‌্যাবের অতিরিক্ত ডিজি খান মোহাম্মদ আজাদ, তোফায়েল মুস্তাফা সারোয়ার, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আনওয়ার লতিফ খান।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত র‌্যাবের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তারা এখনও বিজ্ঞপ্তিটি দেখেননি। দেখার পর প্রতিক্রিয়া জানাবেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by