চট্টগ্রাম

লক্ষীপুরে রিকশা চালক হত্যায় ১০ বছর সাজা, অস্ত্র মামলায় যুবকের কারাদণ্ড

  প্রতিনিধি ৮ মার্চ ২০২৩ , ৭:৪১:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

লক্ষীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষীপুরে পাওনা ২০০ টাকার জন্য  অটোরিকশা চালক লোকমান হোসেনকে পিটিয়ে ও গলায় মাফলার পেঁছিয়ে হত্যার ঘটনায় খোরশেদ আলমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে রামগঞ্জে একটি একনলা বন্ধুকসহ গ্রেপ্তার মো. ইব্রাহিমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। 

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ রহিবুল ইসলাম পৃথক এ রায় দেয়। 

হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খোরশেদ সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের সিরাজ উল্যার ছেলে। 

অস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।  

হত্যা মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ভিকটিম লোকমান চররুহিতা গ্রামের মকবুল আহমেদের ছেলে ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে পাওনা ২০০ টাকার জন্য পিটিয়ে ও গলায় মাফলার পেঁছিয়ে আসামি খোরশেদ তাকে হত্যা করে। তিনি খোরশেদের অটোরিকশা দৈনিক ২০০ টাকা হাজিরায় ভাড়া চালাতেন। ঘটনার কয়েকদিন আগে আসামির রিকশা চালানো বন্ধ করে দেন তিনি। তখন আসামি তার কাছ থেকে ২০০ টাকা পাওনা হয়। পরদিন নিহতের ছেলে রাকিব বাদী হয়ে সদর মডলে থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়। 

অস্ত্র মামলার এজাহার সূত্র জানায়, আসামি ইব্রাহিম আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে একটি পোল্ট্রি দোকানে অবস্থান করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি সাদা ব্যাগ নিয়ে ইব্রাহিম পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তাকে আটক করা হয়। তার হাতে থাকা ব্যাগ থেকে পত্রিকা মোড়ানো অবস্থায় একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একইদিন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। একইবছর ৫ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিপু সুলতান আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়।

লক্ষীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জামিনে গিয়ে অস্ত্র মামলার আসামি পলাতক রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by