দেশজুড়ে

শিবগঞ্জে ইট ভাটার কালো ধোঁয়ায় ৩টি নার্সারিসহ ৩ শত বিঘার জমির ফসল নষ্ট 

  প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল ২০২০ , ৭:২৭:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শিবগঞ্জে কয়েকটি ইটভাটার ধোয়ায় শতাধিক কৃষকের ইরি বোরো ধান, কলা বাগান, ৩টি নার্সারিসহ প্রায় ৩ শত বিঘার জমির ফসলে পঁচন ধরে ও পুড়ে নষ্ট হয়েছে।  
জানা গেছে, উপজেলার শিবগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদীপুর এলাকায় অবস্থিত এমএমটি সহ আরো বেশ কয়েকটি ইট ভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে আশে পাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ  অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পাশাপাশি কালো ধোঁয়ার কারণে আশেপাশের প্রায় ৩ শতাধিক কৃষকের ইরি বোরো ধানের শীষ পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঐ এলাকার কলা বাগান ও ৩টি নার্সারির মাল্টা, আম, জলপাই, লেবু পেঁয়ারা গাছে পঁচন ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ওই এলাকার কৃষক দিশে হারা হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় আশেপাশের গ্রামের দীর্ঘ দিনের পুরাতন বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দিন দিন গ্রামের পরিবেশ পাল্টে যাচ্ছে । এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ধান চাষি নাজমুল হোসেন, মোবারক আলী, রানা মিয়া, কলা চাষি হযরত আলী, আবু তাহের, খাজা মিয়ারা বলেন, ইট ভাটার ধোয়ার কারণে আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা এখন সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। আমাদের ক্ষতি পূরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দিয়েছি। এব্যাপারে নার্সারীর মালিক ফজলুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মুনছুর রহমান বলেন, ইট ভাটার ধোঁয়ার কারণে আমাদের নার্সারির প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে এমএমটি ইট ভাটা মালিক নুর ইসলাম বলেন, আমাদের এই এলাকায় ১০/১২টি ইট ভাটা রয়েছে। তবে আমার ভাটার ধোঁয়াই কৃষকদের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয় নাই। এব্যাপারে এম.এইচ.এম ইট ভাটা মালিক গোলাম মুর্তুজা আলম হেলুট বলেন, আমার ভাটা হাওয়া করা রয়েছে। কালো ধোঁয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। তবে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে অন্য কোন ভাটার ধোঁয়া দিয়ে।  এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল-মুজাহিদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। অচিরেই এব্যাপারে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবীর বলেন, এব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by